মুম্বই হামলার মূল ষড়যন্ত্রী তাহাউর হোসেন রানাকে শীঘ্রই হাতে পাবে ভারত। বুধবার লোকসভায় এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সরকারের সন্ত্রাসদমনে সাফল্যের কথা তুলে ধরে শাহ বলেন, 'বর্তমান সরকার কাশ্মীরকে সন্ত্রাসবাদ থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত করতে অবিরাম কাজ করেছে। আমরা দেশে পিএফআইকে নিষিদ্ধ করেছি। দেশের ৯০টিরও বেশি স্থানে অভিযান পরিচালনা করেছি। লন্ডন, অটোয়া এবং সান ফ্রান্সিসকোতে আমাদের দূতাবাসে হামলা সংক্রান্ত মামলাগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে এনআইএর হাতে। ২৬/১১-র হামলাকারী তাহাউর হোসেন রানা শীঘ্রই ভারতের বিচার বিভাগের মুখোমুখি হবে।'
পালটা মণিপুরের হিংসা ইস্যুতে লোকসভায় বলতে গিয়ে শাহ কংগ্রেসকে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, 'ঘটনাটি লজ্জাজনক হলেও, এনিয়ে রাজনীতি আরও লজ্জাজনক।' শাহর অভিযোগ, বিভ্রান্তি তৈরি করার জন্যই বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। তাঁর অভিযোগ, বিরোধীরা দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করতে চান। তাই, অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। মণিপুরের হিংসা ইস্যুতে লোকসভায় বলতে গিয়ে শাহ কংগ্রেসকে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, 'ঘটনাটি লজ্জাজনক হলেও, এটি নিয়ে রাজনীতি আরও লজ্জাজনক। মণিপুরে হিংসার ঘটনায় ব্যথিত।' প্রধানমন্ত্রী মোদী গত নয় বছরে ৫০ বারের বেশি উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সফর করেছেন। এটাই প্রমাণ যে উত্তর-পূর্ব আমাদের দেশের অংশ। যাঁরা উত্তর-পূর্ব নিয়ে আমাদের প্রশ্ন করছে, তারা ওই অঞ্চলের জন্য কিছুই করেনি।'
আরও পড়ুন- স্মৃতি ইরানিকে প্রকাশ্যে সভার মধ্যেই রাহুল গান্ধীর উড়ন্ত চুমু! তুমুল হইচই লোকসভায়
পার্বত্য রাজ্যে হিংসা রুখতে ব্যর্থ হওয়ায় মণিপুরের বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংকে বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছেন বিরোধীরা। বক্তব্যে শাহ তাঁকে আড়াল করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, 'একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন সহযোগিতা করছেন, তখন কেন তাঁকে পরিবর্তন করতে হবে? এই মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রকে সহযোগিতা করেছেন।' শাহ অভিযোগ করেন, এপ্রিল মাসে মণিপুর হাইকোর্টে নির্দেশ পার্বত্য রাজ্যের হিংসায় ইন্ধন জুগিয়েছে। সেই সময় হাইকোর্ট, মণিপুর সরকারকে তফসিলি উপজাতির (এসটি) তালিকায় মেইতি সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছিল। এরপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার মেইতি এবং কুকি উভয় সম্প্রদায়কেই হিংসায় জড়িয়ে না-পড়ার আবেদন জানান। তিনি বলেন যে হিংসার কারণেই প্রায় ১৫২ জন লোক মণিপুরে প্রাণ হারিয়েছেন। কেবল আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। এরপরই রাজ্যসভা এবং লোকসভা বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায়।