১০ ডিসেম্বর জে পি নাড্ডার কনভয়ে 'হামলা', তারপর ফের 'হামলা'র সম্মুখীন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডলের গাড়ি। এই দু'টি ঘটনাকে 'উদাহরণ' হিসাবে তুলে ধরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে প্রথমে ফোনে, পরে চিঠি লিখে অভিযোগ জানালেন বিজেপি এ রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বাংলার আইন-শৃঙ্খলা ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে চিঠিতে প্রশ্ন তুলেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
শনিবার দুপুরে বিজেপির হেস্টিংসের দফতরে শুভেন্দু অধিকারী-সহ গেরুয়া শিবিরে যোগদানকারী অন্য নেতাদের সংবর্ধনা কর্মসূচি আগে থেকেই নির্ধারিচত ছিল। পাশাপাশি, বিজেপি দফতরের পাশেই মঞ্চ বেঁধে তৃণমূলকে একটি সভার অনুমতি দেয় পুলিশ। সেখান থেকেই গোলমালের শুরু। জানা গিয়েছে শাহকে দেওয়া চিঠিতে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র প্রশ্ন তুলে লিখেছেন, বিজেপি অফিসের পাশেই কেন শাসক দলকের কর্মসূচির জন্য মঞ্চ বাঁধতে দেওয়া হল? যদি তৃণমূলকে সভা করার ছাড়পত্র দেওয়া হল তাহলে কেন পর্যাপ্ত পুলিশ সেখানে দেওয়া হল না?
এ দিন হেস্টিংসের বিজেপি দফতরে সাংসদ সুনীল মণ্ডলের গাড়ি এলে সেটিকে কালো পতাকাও দেখানো হয়। সঙ্গে চলে স্লোগান। ঘটনাস্থলে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি বেধে যায়। পুলিশ প্রথমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনতে ব্যার্থ হয়। পরে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কোনও মতে সুনীল মণ্ডলকে গাড়ি থেকে বের করে বিজেপি দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়।
শুভেন্দু অধিকারীকেও এ দিন কর্মসূচি সেরে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বিক্ষোভের প্রতিবাদের মুখে পড়তে হয়েছে। এরপরই কৈলাস বিজয়বর্গীয় অমিত শাহকে ফোন করে গোটা ঘটনার বিবরণ দেন। তখন তিনি লিখিত আকারে অভিযোগ জমার কথা বলেন।
শাসক দল তৃণমূলের তরফে অবশ্য সুনীল মণ্ডলের গাড়ির সামনে বিক্ষোভের ঘটনাকে ‘স্বতঃস্ফূর্ত’ হলা হয়েছে। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘সুনীল দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তাই মানুষ তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ দেখিয়েছে।’ রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আবার বলেছেন, 'ওই ঘটনার সঙ্গে দলের কারও যোগ নেই। শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘সুনীল মণ্ডল হাতে-গোনা নেতাদের মধ্যে পড়েন না।’
ভোট এগোতেই রাজ্যে শাসক-বিরোধী দ্বন্দ্ব চরমে। তৃণমূলের উপর চাপ বাড়াতে ফের একবার শাহ-কে অভিযোগ জানানো বল বলেই মনে করা হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন