বিধানসভা নির্বাচনে শক্ত লড়াই। তাই শুধু মুকুল-দিলীপদের উপর ভরসা নয়, কঠিন নির্বাচনী লড়াই জিততে শুভেন্দুকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন শাহ-নাড্ডারা। বঙ্গে নির্বাচনী হাই পাওয়ার কমিটির বৈঠকে যোগদানের জন্য এবার জরুরি ভিত্তিতে দিল্লিতে ডাকা হল শুভেন্দু অধিকারীকে। বারুইপুরে বিজেপির যোগদান মেলা শেষে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ডাকে সাড়া দিয়ে এদিন রাতেই রাজধানীতে পৌঁছনোর কথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর। গত মাসেই বাংলার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হাই পাওয়ার কমিটি গড়েছে বিজেপি। মুরুল রায়, দিলীপ অধিকারী, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ ছাড়াও এই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে শুভেন্দুকে।
কয়েকদিন পরেই বাংলাজুড়ে শুরু হচ্ছে বিজেপির রথযাত্রা কর্মসূচি। রাজ্যের মোট ৫টি জায়গা থেকে শুরু হবে এই কর্মসূচি। প্রত্যেকটি রথযাত্রার উদ্বোধনে থাকবেন অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডা। ইতিমধ্যেই রাজ্য প্রশাসনের অনুমতির জন্য আবেদন করেছে বিজেপি। তবে এখনও সবুজ সঙ্কেত মেলেনি। এই যাত্রা দিয়েই প্রচারে পালে হাওয়া তুলতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। তাই রথযাত্রার আগে দলের নির্বাচনী প্রস্তুতির রোড ম্যাপ নির্ধারণেই এদিন শাহ-নাড্ডারা দলের বঙ্গ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক সেরে ফেলতে চাইছেন।
অন্যদিকে, রাজ্যজুড়ে এখন দল পরিবর্তনের ঝড় বইছে। ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূলকে সাফ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। দিন কয়েকের মধ্যেই ফের রাজ্যে আসছেন শাহ-নাড্ডা। এই প্রেক্ষাপটে রাজীব-বৈশালী-প্রবীর ঘোষালদের পর তৃণমূল থেকে আর কোন হেভিওয়েট বিজেপিতে যোগ দান করতে পারেন সে নিয়েও এদিনের হাইপাওয়ার কমিটির বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে বঙ্গ বিজয়ে মুকুল দিলীপদের সঙ্গে গুরুত্বের নিরিখে যে একই আসনে শুভেন্দুকে বসাচ্ছে পদ্ম শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা, তা এদিনের তলব থেকেই স্পষ্ট।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন