রাজস্থানে গেহলট সরকারকে পরাস্ত করতে বিজেপি তাদের নির্বাচনী কৌশল ঠিক করেছে। সাড়ে ছয় ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠকে স্থির করা হয়েছে পরবর্তী কৌশল। নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত দলের আগামী কর্মসূচীও বৈঠকে উঠে আসে। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখা হবে সেই সব বিষয়ে বিস্তারিত আলচনা হয়েছে বৈঠকে। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি। কংগ্রেস সরকারকে কোণঠাসা করার একাধিক কৌশলও বৈঠকে আলোচনা করা হয়।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জয় পেতে মরিয়া বিজেপি। অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা এবং বিএল সন্তোষ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল নিয়ে রাজ্যের বিশিষ্ট নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। প্রতিটি বিষয়ে বিস্তারিত মতামত নেওয়া হয়েছে। প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা একসঙ্গে বসেছেন এবং অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এই বৈঠকে গেহলট সরকারকে কোণঠাসা করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এই সরকার সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার বলে দুর্নীতি নিয়ে সরকারকে কোণঠাসা করার পরিকল্পনা করেছে বিজেপি। কংগ্রেস সরকারের আমলে কোন কোন দুর্নীতি সামনে এসেছে এবং সেই নিয়ে কীভাবে সরকারকে কোনঠাসা করা যায় সেই লক্ষ্যেও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
বিজেপির ম্যারাথন সভা শেষ হওয়ার পর, বিজেপির নেতা প্রহ্লাদ যোশী বলেছেন যে আমরা অনেক বিষয়ে আলোচনা করেছি, প্রার্থী বাছাইয়ের বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। একই সঙ্গে সামনে এসেছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সিপি জোশীর বক্তব্যও। তিনি বলেন, দলের আগামী কর্মসূচী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, রাজস্থানে এমপি ফর্মুলা প্রযোজ্য হবে কি না, তা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির সিদ্ধান্ত, নির্বাচনী কৌশল ইত্যাদি নানান বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে 'এমপি' কৌশলকে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। রাজ্যে অনেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সাংসদকে প্রার্থী করার পরিকল্পনা বিজেপির। মধ্যপ্রদেশের আদলে, বিজেপি রাজস্থানেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সাংসদদের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। সূত্রের খবর, বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে দল এই বিষয়ে একটি বিশেষ পরিকল্পনা করছে। রাজ্যের অশোক গেহলট সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে জয়পুরে রাজস্থান বিজেপি কোর গ্রুপ নেতাদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যাতে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে কৌশলগত পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়।
দলীয় সূত্রের খবর, বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতকে প্রার্থী করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে । প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও লোকসভা সাংসদ রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর, রাজ্যসভার সাংসদ কিরোরি লাল মীনা সহ প্রায় অর্ধ ডজন সাংসদ প্রার্থী হতে পারেন। রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে এই প্রবীণদের প্রার্থী করার বিষয়ে দলটি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই দেখার বিষয়।