ভোটের উত্তাপ বাড়াতে ফের রাজ্যে আসছেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা। জানুয়ারির দিতীয় সপ্তাহ ৯ ও ১০ তারিখ তিনি ফের পশ্চিমবঙ্গে আসছেন বলে বিজেপি সূত্রে খবর। 'বহিরাগত' তকমা ঘোচাতে বাঙালি আবেগ ও মনন এবারের ভোটে গেরুয়া শিবিরের অন্যতম হাতিয়ার। তাই শাহের পর বোলপুরে যাবেন নাড্ডা। সেখানে কর্মী সভা করার কথা রয়েছে তাঁর। শুধু জে পি নাড্ডাই নন, চলতি মাসেই রাজ্য সফরে আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-ও। জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহেই তাঁর বঙ্গে আসার কথা। মতুয়া ক্ষতে প্রলেপ দিতে এবার ঠাকরনগরে যাবেন তিনি।
বিশ্বভারতীয় সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাতের আবহ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে গত ডিসেম্বরেই রাজ্য এসে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উগদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী। তারপর বোলপুরে রোড শো করেন। যেখানে ভিড় ছিল তোখে পড়ার মতো। যা দেখে 'আপ্লুত' শাহ সোনার বাংলা গড়ার ডাক দেন। এর কয়েকদিনের মধ্যেই চলতি সপ্তাহেই বোলপুরেই পাল্টা ব়্যালি করেন মুখ্যমন্ত্রী। আদিবাসী গ্রামে গিয়ে জনসংযোগও সেরে আসেন। দুই সভার ভিড় ঘিরে যুযুধান বিজেপি-তৃণমূল বাক যুদ্ধ চরমে।
এই পরিস্থিতিতে ফের রাঙা মাটির বোলপুরে গিয়ে কর্মীসভা করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। একদিকে বাঙালি আবেগ, অন্যদিকে আদিবাসী ভোট ব্যাংকে থাবা বসাতে কর্মীসভায় নাড্ডা কী ব্লুপ্রিন্ট সাজাচ্ছেন সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।
এদিকে, কোভিড ভ্যাকসিনের পর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বলবথের ঘোষণায় কিছুটা হলেও বিভ্রান্ত মতুয়ারা। সাংসদ শান্তুনু ঠাকুর বেসুরো হলেও আপাতত দলে থাকার কথা বলেছেন। তাই মতুয়া ক্ষতে প্রলেপ দিতে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহেই ঠাকুরনগরে যাওয়ার কথা রয়েছে শাহের।
মূলত, বারে বারে রাজ্য এসে বাঙালি আবেগ, আদিবাসী ও মতুয়া ভোট ব্যাংক অক্ষত রাখার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন শাহ-নাড্ডারা। উল্লেখ্, গত লোকসভায় আদিবাসী ও মতুয়া ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক গেরুয়া প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। উত্তরবঙ্গ, আধািবাসী অধ্যুষিত মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরলিয়া, বাঁকুড়ায় দলের সাফল্য এসেছে। উত্তরবঙ্গেও বিরাট নির্বাচনী জয় পেয়েছে বিজেপি। মতুয়া অধ্যুষিত উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়াতেও
তৃণমূল অবশ্য এসবে পাত্তা দিতে নারাজ। জোড়া-ফুলের দাবি, 'বিজেপির এ রাজ্যে নেতা নেই বলেই বাইরে থেকে নাড্ডা-অমিত শাহদের ধরে প্রচারে আনতে হচ্ছে। ভিন রাজ্যের নেতারাও আসছেন। তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাই একশ।'
২০২১-এ বঙ্গে মেরুকৃত ভোট হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। লড়াই মূলত বিজেপি-তৃণমূলের। কিন্তু জোট গড়ে ভোট ময়দানে বাং-কংগ্রেসও। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের দাবি, 'ওরা দুই দলই সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে। আমরা মানুষের মূল দাবি-দাওয়া, চাওয়া-পাওয়ার উপর ভিত্তি করে ভোটে লড়বো।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন