দেশ জয় করেছে বিজেপি। কিন্তু, রাজধানী নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা আম আদমি পার্টির হাতে। চলতি বছরের ভোটেও যে দিল্লি জয় কঠীন তা হারে হারে টের পাচ্ছেন গেরুয়া বাহিনী। তাই দিল্লির দলীয় সভা থেকে কেজরিওয়াল সরকারকে তুলধোনা করলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। গত পাঁচ বছরে কেজরিওয়াল সরকার কী করেছে? তার হিসাব চাইলেন শাহ। একসঙ্গে বললেন, 'মানুষকে বেশিদিন ভুল বোঝান সম্ভব নয়।'
এদিন বুথ কার্যকর্তা সম্মেলনে ভাষণ দেন অমিত শাহ। সেখানেই তিনি বলেন, 'ক্ষমতা দখল করতে মানুষকে বিভ্রান্ত করে প্রতিশ্রুতির বন্য বইয়ে দিয়েছিল আম আদমি পার্টি। কিন্তু, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি তারা। বরং উন্নয়নের টাকায় বিজ্ঞাপণ হয়েছে।' গত পাঁচ বছরে কী হয়েছে তার খতিয়ান দিল্লি সরকারের থেকে চাওয়ারও আর্জি জানান শাহ। বলেন, 'নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আগামীতে দিল্লির ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।'
আরও পড়ুন: বিহারে এনপিআরের দিন ঘোষণা মোদীর, সম্মতি জেডিইউয়ের
সিএএ-এনআরসি ধর্মের ভিত্তিতে তৈরি বলে অভিযোগ কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলোর। এদিন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে সরব হন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তাদের বিরুদ্ধে দেশের সংখ্যালঘু মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগ করেন অমিত শাহ। বলেন, 'নাগরিকত্ব চলে যাবে বলে মুসলমানদের বিভ্রান্তি দেওয়া হচ্ছে। হিংসায় উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। আমি বলতে চাই আইনে এমন কোনও কিছুই নেই যাতে নাগরিকত্ব চলে যাবে।'
দুদিন আগেই পাকিস্তানের নানকানা সাহিবে শিখদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে। সেই প্রসঙ্গ তুলে এদিন সোনিয়া গান্ধী, রাহুল-প্রিয়াঙ্কা ও কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন বিজেপি সভাপতি। বলেন, 'যারা সিএএ-এর বিরোধ করছেন তারা পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে দেখুন। যেসব শিখরা আক্রান্ত হচ্ছেন তারা কোথায় যাবেন?'
গত কয়েকদিন আগে একটি টোল ফ্রি নম্বর শেয়ার করে বিজেপি। বলা হয়, সেখানে মিসড কল দিয়ে সিএএ-কে সমর্থন করতে হবে। তারপরই ওই ফোন নম্বর ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। রবিবার এই ইস্যুতে মুখ খোলেন শাহ। বলেন, 'এটা নেটফ্লিক্সের নম্বর নয়, এটা বিজেপিরই নম্বর।' উপস্থিত দর্শকদের ওই নম্বরে মিসড কল দিতে বলেন তিনি।
Read the full story in English