Amit Shah: গত ৭ বছরে মোদিজির নেতৃত্বেই দেশের পূর্ণ বিকাশ হয়েছে। দিল্লির এক অনুষ্ঠানে বুধবার এই দাবি করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ধার এবং ভারে বদল এনেছেন। জিডিপিকে একটা মানুষের চেহারা দিয়েছেন। মোদিজির নেতৃত্বেই গুজরাত মডেল রাজ্য হিসেবে গড়ে উঠেছিল। আর তাঁকেই বিজেপি ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করেছিল।‘
এখানেই শেষ নয়। প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষ প্রশাসন, বদল, সংস্কার কিংবা আর্থিকবৃদ্ধি দেশের সব সমস্যা দূর করবে না। শুধু প্রশাসনিক বিষয় নয়, দক্ষ হাতে বিষয়টা নিয়ন্ত্রণ করা নেতার লক্ষ্মণ। আর এই কাজ একমাত্র সে পারে, যার পিছনে জনতার সমর্থন রয়েছে। যে তৃণমূলস্তর থেকে আসেন এবং গরিব মানুষের প্রয়োজন বুঝতে পারেন।‘
এমনকি, গুজরাতে নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাক্ষেত্রে সংস্কার সেই রাজ্যকে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এদিন এই দাবিও করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘হয়তো আমি ব্যাঙ্গের মুখে পড়তে পারি। কিন্তু বলতে চাই নিরক্ষরদের সেনা নিয়ে কখনও দেশের উন্নতি সম্ভব নয়। যারা দেশের সংবিধানের অধিকার সম্বন্ধে ওয়াকি বহালনয়, তাঁদের কর্তব্য দেশ বিকাশে কাজে লাগে না।‘
এদিকে, দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পেয়েই মোদীর বাসভবনে গেলেন রজনীকান্ত (Rajinikanth)। সঙ্গে স্ত্রী। শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) নয় এদিন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (Ram Nath Kovind) সঙ্গেও দেখা করেছেন দক্ষিণী সুপারস্টার। সোমবার দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে অভিনেতার হাতে উঠেছে ভারতীয় চলচ্চিত্রের সবথেকে বড় সম্মান দাদাসাহেব ফালকে। আর তার পরদিনই মোদী, রামনাথ কোবিন্দ-সহ দিল্লির শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গেও দেখা করেন রজনীকান্ত। টুইট করে সেই ছবি শেয়ার করার পর থেকেই জল্পনার সূত্রপাত।
নেটিজেনরা মোদী-রজনীকান্তের সৌজন্যমূলক সাক্ষাতে খুঁজে বেড়াচ্ছেন রাজনৈতিক সমীকরণ। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের পয়লা এপ্রিল রজনীকান্তের দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাওয়ার ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অবশ্য সেই জল্পনার স্ফুলিঙ্গ জ্বলে উঠেছিল। অভিনেতা, প্রযোজক এবং চিত্রনাট্যকার হিসেবে ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে দাক্ষিণাত্যের এই সুপারস্টারের বিশেষ অবদানের জন্যই তাঁকে এই সম্মান দেওয়া হবে বলে সেইসময় জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তবে মোদী-মন্ত্রকের তরফে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার ঘোষণা করার পর থেকেই, নেটজনতার একাংশ ‘থালাইভা’কে কটাক্ষ করতে শুরু করেন। উত্থাপন করেন, ‘পাশা পাল্টে’ রজনীর রাজনীতিতে নাম না লেখানোর প্রসঙ্গ। সেই প্রেক্ষিতেই প্রশ্ন উঠেছিল যে, দাদাসাহব ফালকে কি দাক্ষিণাত্য ভোটে রজনীকান্তের না লড়ার পুরস্কার?
আর সোমবার যখন রজনীর হাতে সেই পুরস্কার উঠল এবং পরদিনই মোদীর সঙ্গে স্ত্রীকে নিয়ে দেখা করতে গেলেন অভিনেতা, তখন সেই প্রশ্ন যেন আবারও ফিনিক্স পাখির মতো মাথা চাড়া দিল নেটদুনিয়ায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন