আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি থাকছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিজেপি সূত্রে খবর তেমনটাই। বৃহস্পতিবার বিজেপির এক দলীয় বৈঠকে দলের সাংগঠনিক নির্বাচনের সময় নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে সূত্রের খবর বলছে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
বৃহস্পতিবার অমিত শাহ বিজেপির জাতীয় স্তরের পদাধিকারী, রাজ্য সভাপতিদের সঙ্গে দেখা করবেন। দলের সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গেও ১৮ জুন শাহের বৈঠক হওয়ার কথা।
বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের সদস্যরা নতুন অথবা কার্যকরী সভাপতি নির্বাচন করতে পারে বলেই রাজনৈতিক মহলে জোর আলোচনা চলছে। তবে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তরফে বিজেপির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা সে সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন, ‘হাইজ্যাকের নাটক’ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ব্যবসায়ীর, ৫ কোটি টাকার জরিমানাও
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে রাজধানীতে ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় স্তরের বৈঠকে সভাপতি নির্বাচনের সময় পিছিয়ে দিয়ে শাহের সভাপতিত্বের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৪ সালের জুলাই মাসে রাজনাথ সিং এর উত্তরসূরি হিসেবে অমিত শাহ বিজেপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। কোনও বিরোধিতা ছাড়াই শাহ তিন বছরের মেয়াদের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বিজেপির দলীয় সংবিধানে সভাপতি হিসেবে তিন বছরের মেয়াদের পরপর ২ দফায় নির্বাচিত হতে পারেন। সুতরাং আরও একবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হতে অমিত শাহের সাংবিধানিক কোনও বাধা থাকছে না।
বিরোধী শিবিরে ধস নামিয়ে গত মাসেই দেশের ১৭ তম সাধারণ নির্বাচনে ৩০৩ টি আসন পেয়েছে বিজেপি। অমিত শাহকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে বসানোর সঙ্গে সঙ্গে দলের প্রবীণ এবং অভিজ্ঞ নেতা জগত প্রসাদ নাড্ডাকে কোনও মন্ত্রীত্ব না দেওয়ায় রাজনৈতিক মহলে একরকম ধরেই নেওয়া হয়েছিল, নাড্ডাকে দলের সভাপতিত্বের ভার দেওয়া হবে।
Read the full story in English