Advertisment

পাঞ্জাব দখলে ক্যাপটেন-ধিন্দসা-র সঙ্গে কথা বিজেপির, উত্তরপ্রদেশে প্রত্যাবর্তনে আত্মবিশ্বাসী শাহ

কানাঘুষো খবর, কৃষি আইন নিয়ে সংঘাতের জেরে এনডিএ ভেঙে বেরিয়ে যাওয়া শিরমণি অকালি দলের সঙ্গেও আলোচনা করছেন গেরুয়া নেতৃত্ব।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
terrorism is biggest human rights violation amit shah on nia day

অমিত শাহ, ফাইল ছবি।

আসন্ন পাঞ্জাব ভোটে জোট বেঁধে লড়াইয়ের জন্য ক্যাপ্টেনের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে বিজেপি। এছাড়া, দলত্যাগী অকালি দলের নেতা সুখদেব সিং ধিন্দসার সঙ্গেও কথা এগিয়েছে। শনিবার এই দাবি করেছেন অমিত শাহ। কানাঘুষো খবর, কৃষি আইন নিয়ে সংঘাতের জেরে এনডিএ ভেঙে বেরিয়ে যাওয়া শিরমণি অকালি দলের সঙ্গেও আলোচনা করছেন গেরুয়া নেতৃত্ব।

Advertisment

সর্বভারতীয় এক সংবাদপত্রগোষ্ঠীর আলোচনাসভায় গিয়ে অমিত শাহ বলেছেন, 'ক্যাপটেন সাহেব ও ধিন্দসাজির সঙ্গে আলোচনা চলছে। হয়তো আমাদের জোট হবে। কৃষি আইন বাতিল করে বড় মনের পরিচয় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কৃষকরা ওই আইনে কোনও সুবিধা না দেখায় তা প্রত্যাহার করে কৃষকদের আন্দোলনে ইতি টানার পরামর্শ দিয়েছেন মোজীজি। আমি মনে করি না পাঞ্জাবে কৃষক আন্দোলন কোনও ইস্যু হবে। অন্যান্য নানা ইস্যুকে সামনে রেখেই ভোট হবে।'

গত প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন কৃষকরা। গত মাসেই ওই আইন বাতিলের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে চলতি শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেই কেন্দ্রীয় তিন কৃষি আইন বাতিল করেছে সরকার। কংগ্রেস ছাড়লেও কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অনড় ছিলেন পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি ছিল, কৃষি আইন বাতিল করলেই পদ্ম শিবিরের সঙ্গে তাঁর দলের জোট সম্ভব। কারণ এই আন্দোলনের অন্যতম শরিক পাঞ্জাবের কৃষকরাই। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার আইন বাতিল করায় ক্যাপটেনের দলের সঙ্গে বিজেপির জোটের পথ প্রশস্থ হয়েছে।

জম্মু-কাশ্মীরকে ফের রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া রাজনৈতিক দাবি রয়েছে। সেই দাবি কী পূরণ করবে মোদী সরকার? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, 'আগে এলাকা পুনর্বিন্যাস হবে। ইতিমধ্যেই সংসদে আইন পাস হয়েছে। তারপরই ভোট হবে। এইসবের পরই রাজ্যের তকমা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। এর আগেও বহুবার এটা বলেছি। তবে রাজনৈতি ফায়দা লাভের জন্য এই বিতর্ক জিইয়ে রাখা হয়েছে।' কিন্তু বর্তমানে উপত্যকারা পরিবেশ যে আগের তুলনায় অনেক ভালো হয়েছে তাও দাবি করেছেন শাহ।

কাশ্মীরের স্থানীয় দলগুলির দাবি ৩৭০ ধারা কার্যকর হলেই উপত্যাকায় আইন-শৃঙ্খলা ভালো হবে। জবাবে অমিত শাহর প্রশ্ন, 'স্বাধীনতার পর ৭৫ বছর ধরে জম্মপ-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা কার্যকর ছিল। তাহলে কেন সেখানে শান্তি ছিল না? এই আইন থাকলেই যদি শান্তি বিরাজ করে তবে কেন ৯০-এর দশকে বেছে বেছে খুন করা হল? পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়েছিল? তুলনামূলক বিচার করে দেখুন বর্তমানে পরিস্থিতি অনেক ভালো।'

আগামী বছর উত্তরপ্রদেশে ভোট। বিজেপি কী ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে? মুখ খুলেছেন পদ্ম শিবিরের চাণক্য। বিরোধী জোটের (হলেও হতে পারে) প্রভাবের কথা উড়িয়ে অমিত শাহর কথায়, 'রাজনীতি রসায়ণ বা পদার্থ বিদ্যা নয় যে দুটি দল জোট করলেই ভোট একত্রিত হয়ে যাবে। অতীতে এর বহু উদাহরণ রয়েছে। এর আগে এসপি ও কংগ্রেস, পরে এসপি-কংগ্রেস-বিএসপি জোট বেঁধে ভোটে লড়েছিল কিন্তু জিতেছে বিজেপি। ভোটাররা রাজনীতির পাটিগণিত অনুযায়ী ভোট প্রয়োগ করেন না। এবারও বিজেপি উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় আসবে।'

উত্তরপ্রদেশের ভোটে কৃষকদের আন্দোলন কোনও প্রভাব ফেলবে না বলেই দাবি শাহর।

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

bjp amit shah uttar pradesh jammu and kashmir Punjab Poll 2022
Advertisment