পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তন নিশ্চিত। রাজ্যে বিজেপির গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা (রথযাত্রা) বাতিল হয়নি, স্থগিত হয়েছে। তিনটি যাত্রাই হবে, "আমি নিজে গিয়ে উদ্বোধন করব"। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে বিজেপির শুক্রবারের গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রার অনুমতি না মেলায় ক্ষুব্ধ অমিত শাহ এই ভাষাতেই প্রতিক্রিয়া দিলেন। তবে শনিবার অমিত শাহ আদৌ রাজ্যে আসছেন কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধন্দ। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে চড়া সুরে আক্রমণ করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি অমিত শাহ এবং জানিয়ে দেন, সুপ্রিম কোর্টের দরজাও খোলা রয়েছে। উল্লেখ্য, পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, আজ সকালেই কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে কোচবিহার পৌঁছে প্রথম গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রাটি উদ্বোধনের কথা ছিল শাহের।
আরও পড়ুন: কোচবিহার যাচ্ছেন না অমিত শাহ, বিশ বাঁও জলে সভা
রাজ্য প্রশাসন অনুমতি না দেওয়ায় এবং শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টেও সবুজ সংকেত না মেলায় দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ বিজেপি সভাপতি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন শাহ বলেন, প্রশাসনই যদি রাজনীতি করে, তাহলে কিছু করার থাকে না। তৃণমূল শাসনাধীন পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রর কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে বলে এদিন ফের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অমিত শাহ। তাঁর দাবি, তৃণমূলের বেলাগাম সন্ত্রাস সত্ত্বেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৭ হাজার আসনে বিজেপি জয়ী হওয়াতেই ভয় পেয়েছেন মমতা। আর সে জন্যই প্রশাসনকে ব্যবহার করে এই ক্রমসূচি আটকানো হল। কটাক্ষের সুরে অমিত বলেন, "উনি ভয় পেলেও, এই ভয় কাটানোর ওষুধ তো আমার জানা নেই"। এরপরই আগামী দিনে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি যে বাংলায় পরিবর্তন ঘটাবে, সে কথা জানিয়ে দেন প্রত্যয়ী শাহ।
আরও পড়ুন: জমি দিয়েছেন অমিতের সভার জন্য, হাসিমুখে ত্যাগ স্বীকার কুন্ডু পরিবারের
পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে কতটা তলানিতে ঠেকেছে তা বলতে গিয়ে রাজনৈতিক হত্যার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন অমিত শাহ। তাঁর দাবি, শতকরা ২৬ শতাংশ রাজনৈতিক খুন হয় এ রাজ্যে। রাজ্য প্রশাসন তোষণের রাজনীতি করছেন বলেও তোপ দেগেছেন তিনি। রাজ্যের সর্বশেষ পঞ্চায়েত ভোটে মোট ১৩৪১ জন বিজেপি কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন শাহ। এর পাশাপাশি, ৩ বিজেপিকর্মী খুনের তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।