অমিত শাহের সভায় যোগ দিতে আসা বিজেপি কর্মীদের বাধা দিলে ‘ফল ভাল হবে না’! শাহের সফরের দিনই এমন হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। সকাল ১১টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছোনোর পরই বিক্ষোভের মুখে পড়েন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অমিত শাহকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান, কালো পতাকা দেখান বাম কর্মী-সমর্থকরা। এই প্রেক্ষিতে সায়ন্তনের হুঁশিয়ারি অন্য মাত্রা পেল বলেই মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী বলেছেন সায়ন্তন বসু?
অমিত শাহের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে সায়ন্তন বলেন, ‘‘লোক কোথায় বিক্ষোভ দেখাবে! আমাদের লক্ষাধিক মানুষের কার্যক্রম হবে। আমরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নাগরিক সংবর্ধনা দেব। আমাদের মিছিলের সামনে কেউ বাধা দিলে ফল ভাল হবে না। কেন বৃদ্ধ বয়সে বামপন্থী নেতারা লাফালাফি করছেন, বাড়িতে গিয়ে বিশ্রাম করুন। গতকালই আমাদের কর্মীদের বলেছি, প্ররোচনা দেখানোর চেষ্টা করলে প্ররোচিত হবেন না। শহিদ মিনারের সভায় আসা গাড়িকে বাধা দিলে সেই বাধা সরিয়ে আসতে হবে, এজন্য যা যা করার করব। পুলিশ হয়তো সাহায্য করবে না’’।
আরও পড়ুন: LIVE: ‘গো ব্যাক অমিত শাহ’, কলকাতায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কালো পতাকা
ছবি: শশী ঘোষ।
এদিন অমিত শাহের কলকাতা সফরের বিরোধিতায় রাজপথে নেমেছে বামেরা। দমদম বিমানবন্দরের ১নং গেটে শাহকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বাম কর্মী-সমর্থকরা। পার্ক সার্কাস, সন্তোষপুর, গড়িয়াহাট, কৈখালি মোড়েও অমিত শাহের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলছে। এ প্রসঙ্গে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অমিত শাহের হাতে রক্তের দাগ। কলকাতায় তাঁকে স্বাগত জানানো হবে, এটা হতে পারে না। দুর্ভাগ্যের যে অমিত শাহের সভায় অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। আমাদের একটাই স্লোগান গো ব্যাক অমিত শাহ’’।
শাহের সফর প্রসঙ্গে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘বাংলার মানুষ সিএএ-এনআরসি করতে দেবে না। কে এল আর গেল, ভাবছি না। অমিত শাহের সফরে আমরা চিন্তিত নই’’। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উনি তো উস্কানিমূলক কথা ছাড়া কিছু বলেন না। উনি আবার পশ্চিমবঙ্গকে দিল্লি করার চেষ্টা করবেন। আমরা সবদিক থেকে ওঁর প্রচেষ্টা রুখব’’।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন