সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় নেমে আসলে ‘ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি’ চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুক্রবার এ ভাষাতেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে নিশানা করলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন যোধপুরের সভায় সিএএ ইস্যুতে মমতার প্রতিবাদ কর্মসূচিকে টার্গেট করে শাহ বলেন, ‘‘মমতাদিকে জিজ্ঞেস করতে চাই, শরণার্থীকরা আপনার কী ক্ষতি করেছে? কেন আপনি বিরোধিতা করছেন? বাংলার শরণার্থী ভাইবোনদের বলছি, আপনারা প্রতারিত হয়ে এখানে এসেছেন। এখানে কোনও প্রতারণা হবে না। সম্মানের সঙ্গে আপনাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। মমতাদিকে ভয় পাবেন না। মমতাদি আপনাদের ভাল চান না, ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি চাইছেন’’।
উল্লেখ্য, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় প্রথম থেকেই সোচ্চার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সিএএ পাস হওয়ার পর থেকেই এর বিরোধিতায় কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কলকাতায় টানা তিনদিন মহামিছিলের পর জেলাতেও সিএএ বিরোধী কর্মসূচি করছে তৃণমূল। শুক্রবারই শিলিগুড়িতে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় পদযাত্রা করেন মমতা। এদিনও মমতা বলেন, ‘‘এখন একটাই প্রশ্ন, আমাদের ভবিষ্যতের ঠিকানা থাকবে কিনা। সকলে একজোট হোন। এটা দ্বিতীয় স্বাধীনতার লড়াই’’। পাশাপাশি মোদীকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘‘হিন্দুস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়ে শুধু পাকিস্তানের কথা বলছেন। কেন পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের দেশের তুলনা করা হচ্ছে? কথায় কথায় প্রধানমন্ত্রী বলছেন, পাকিস্তানে গিয়ে চর্চা করুন। এটা আমাদের দেশ, আমরা এ দেশ নিয়েই কথা বলব। আমরা পাকিস্তানের কথা শুনতে চাই না। খাবার, চাকরি চাইলে পাকিস্তানের কথা বলা হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদীকে প্রশ্ন করতে চাই, আপনি হিন্দুস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়ে পাকিস্তানের কথা বলছেন, আপনার লজ্জা করে না। আপনি কি পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত?’’
আরও পড়ুন: ‘এনআরসি এখন নয়, তবে সিএএ এখনই’
বিরোধীদের নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ কর্মসূচির পাল্টা হিসেবে এদিন মোদী সেনাপতি বলেন, ‘‘৫ তারিখ থেকে দেশজুড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সিএএ নিয়ে সাধারণ মানুষকে বোঝানো হবে। যখন এই আইন সম্পর্কে সকলে বুঝে যাবেন, তখন বুঝবেন, কতটা ভুল পথে চলেছিলেন অপনারা (বিরোধীরা)। একটা নম্বর বলছি, এই নম্বরে (৮৮৬৬২৮৮৬৬২) ডায়াল করে মোদীজিকে সমর্থন করুন। বিরোধীদের জবাব দিতে এই নম্বরে ডায়াল করুন আপনারা’’। বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে অমিত শাহ এদিন বলেন, ‘‘যদি সব দল একজোট হয়, তবুও পিছু হঠবে না বিজেপি। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে নিজেদের অবস্থান থেকে এক ইঞ্চিও সরবে না বিজেপি। যতখুশি অপপ্রচার চালান’’।