ক্ষোভ প্রশমণে শনিবার মতুয়া গড় ঠাকুরনগরে সভা করার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। প্রস্তুতি সম্পন্ন ছিল। কিন্তু শুক্রবার দিল্লিতে বিস্ফোরণের জেরে শাহের বাংলা সফর বাতিল হয়েছে। ফলে হতাশা বেড়েছে মতুয়াদের। সঙ্গে নাগরিকত্ব ইস্যুতে অসন্তোষও উর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে মতুয়াদের ক্ষতে প্রলেপ দিতে অমিত শাহ জানিয়েছেন ২৪-৪৮ ঘন্টার নোটিসে ঠাকুরনগরে একই মঞ্চে সভা করবেন তিনি। সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের পাশে বসে একথা সাংবাদিক বৈঠকে জানান বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায়।
শাহ না এলেও এদিন ঠাকুরনগরে গিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি মুকুল রায় ও কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁদের সামনেই ক্ষোভ প্রকশ করেন উদ্বাস্তু হয়ে এপারে আসা মানুষগুলো। পরে বিজেপির এই দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে ফোন করেন অমিত শাহ। সেখানেই অতি কম সময়ের নোটিসে ঠাকুরনগর যাওয়ার আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে কবে হবে সভা? তা স্পষ্ট করা হয়নি।
এদিন মুকুল রায় বলেন, 'ঠাকুর নগরে সভা হবে। একই মঞ্চে হবে। অমিতজি ফোনে একথা বলেছেন। মনে রাখতে হবে সবার আগে দেশ। সিএএ লাগু হবেই, এনিয়ে বিভ্রান্তির কোনও জায়গা নেই।'
গতবার বঙ্গ সফরে এসে শাহ জানিয়েছিলেন, করোনামহামারী মিটলে সিএএ লাগুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।' এই ঘোষণার পরই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বমগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর। পরে অবশ্য সেই ক্ষোভ প্রশমিত হয়। বিজেপিতে থাকার ঘোষণা করেন তিনি। জানিয়েছেছিলেন অমিত সাহ নিজে এসে মতুয়াদের আশঙ্কা দূর করবেন। কিন্তু দিল্লি বিস্ফোরণের জেরে এদিন না আসতে পারায় মতুয়াদের মধ্যে ফের দোলাচল শুরু হয়। অবশ্য দলীয় লাইন মেনেই এদিন শান্তু বলেছেন, 'উনি আসছেন। তবে দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, আন্তর্জাতিত ইস্যু। এই পরিস্থিতিতে আজ উনি আসতে পারছেন না ঠিকই। কিন্তু যেই উনি সময় পাবেন, উনি চলে আসবেন বলে জানিয়েছেন। মতুয়াদের কোনও ক্ষোভ নেই।'
এই সুযোগ অবশ্য কাজে লাগাতে ময়দানে নেমেছে তৃণমূল। মতুয়াদের ক্ষোভ উসকে দিতে বনগাঁর প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর বলেছেন, 'কিছু বলার নেই বলেই আসছেন না অমিত শাহ।' পাল্টা মুকুল রায় বলেন, 'এই সভা বাতিল হয়নি। একই মঞ্চে সভা হবে। ২৪-৪৮ ঘন্টার নোটিসে সভা হবে। তাই ওনার অত চিন্তার কোনও কারণ নেই।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন