Advertisment

পিএফআইকে নিষিদ্ধ করার পিছনে আইএস যোগ? সামনে এল ভয়ঙ্কর তথ্য!

আসুন জেনে নেওয়া যাক কী কী প্রমাণ ছিল যার ভিত্তিতে পিএফআই নিষিদ্ধ করা হল পিএফআইকে

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
pfi isis links, pfi ban, popular front of india, popular front of india isis, isis, pfi ban islamic state, pfi islamic state, pfi news

আসুন জেনে নেওয়া যাক কী কী প্রমাণ ছিল যার ভিত্তিতে পিএফআই নিষিদ্ধ করা হল পিএফআইকে

দেশবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ, ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ PFI-সহ শাখা সংগঠনগুলি। বুধবার কেন্দ্রীয় সরকার পাঁচ বছরের জন্য পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া বা পিএফআই-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল। দেশবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে পিএফআই এবং তার সহযোগী সংগঠন গুলিকে নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র। ইউএপিএ আইনে এই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইনের ৩৫ নম্বর ধারায় পিএফআই-কে ৪২টি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

Advertisment

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী পিএফআই এবং তার সহযোগী সংগঠনগুলি যেমন- রেহাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, অল ইন্ডিয়া ইমামস কাউন্সিল, ন্যাশনাল কনফেডারেশন অফ হিউম্যান রাইটস অর্গ্যানাইজেশন, ন্যাশনাল উইমেনস ফ্রন্ট, জুনিয়র ফ্রন্ট, এমপাওয়ার ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এবং রেহাব ফাউন্ডেশন কেরালা-কেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে পিএফআই নেতাদের বাড়িতে হানা, তল্লাশি, ধরপাকড় চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। ২৭০ জনকে আটক এবং গ্রেফতার করা হয়েছে। সাতটি রাজ্যে চলেছে অভিযান। সবচেয়ে বেশি কর্ণাটকে। সেখানে সতর্কতামূলক অভিযানে ৮০ জন পিএফআই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ , মহারাষ্ট্র, গুজরাট, অসম, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশে তল্লাশি চালানো হয়েছে।

গোটা ঘটনায় বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা টুইট করেছেন, “সময়োপযোগী এবং কঠোর পদক্ষেপ কেন্দ্রের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পিএফআই-কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু আগে অতীতে আমরা দেখেছি, কীভাবে কংগ্রেস, সপা, আরজেডি, বামেরা এবং অন্যান্য দলগুলি রাজনৈতিক স্বার্থে ভোটব্যাঙ্কের নামে সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে।”

সারাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে পিএফআই-এর ক্রমাগত তৎপরতার প্রমাণ পেয়ে এর বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার গভীর রাতে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI) কে নিষিদ্ধ করার আদেশ জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বিতর্কিত সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট ইন্ডিয়াকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর আগে, পিএফআই-এর বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে এনআইএ অভিযান চালানো হয়েছিল এবং এতে শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এন আই এ।

PFI-এর বিরুদ্ধে NIA-এর প্রথম অভিযান শুরু হয় ২২শে সেপ্টেম্বর এবং দ্বিতীয় দফায়  অভিযান চালানো হয় ২৭শে সেপ্টেম্বর হয়েছিল। প্রথম দফার অভিযানে ১০৬ জন PFI সদস্যকে জালে পোড়ে এন আই এ। একই সময়ে ২৭শে সেপ্টেম্বর ২৪৭ জনকে আটক করা হয়।  এনআইএ সহ অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থাগুলি পিএফআই-এর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কিছু  প্রমাণ পেয়েছে, যার ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ চাওয়া হয়। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পিএফআই-কে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করল।

আরও পড়ুন : < হাইকমান্ডের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লির পথে গেহলট, সভাপতি পদে মনোনয়ন ঘিরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত >

আসুন জেনে নেওয়া যাক কী কী প্রমাণ ছিল যার ভিত্তিতে পিএফআই নিষিদ্ধ করা হল পিএফআইকে

ভারতে ইসলামী শাসন জারির চেষ্টা

অপারেশন অক্টোপাসের দ্বিতীয় রাউন্ডে, NIA, ATS এবং রাজ্য পুলিশ PFI-এর মিশন ২০৪৭ সম্পর্কিত এমন কিছু প্রমাণ পেয়েছে যা এই সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞার কারণ বলে বিবেচিত হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে ভারতকে গৃহযুদ্ধে ও অশান্তি সৃষ্টি করা, ২০৪৭ সালের মধ্যে অপারেশন গাজওয়া-ই-হিন্দ সম্পূর্ণ করা এবং ভারতে ইসলামী শাসন জারি করা।

হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচার

গোয়েন্দা সূত্রে বেশ কিছু বড় রহস্য সামনে এসেছে। PFI তহবিল যেগুলি এখনও পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করেছে এন আই এ, তার একটা বড় অংশ উপসাগরীয় দেশগুলিতে বসবাসকারী মুসলমানদের কাছ থেকে এসেছে। কাতার, বাহরাইন, কুয়েত এবং তুরস্কে পিএফআই-এর তহবিল ও নেটওয়ার্কেও হদিশ মিলহেছে। PFI উপসাগর থেকে ভারতে অর্থ পাচারের জন্য কয়েকটি হাওয়ালার ব্যবহার ও সামনে এসেছে।  কর্ণাটক এবং কেরালা ছিল পিএফআই-এর মানি ব্যাঙ্ক এবং এখান থেকে টাকা সারা ভারতে ছড়িয়ে দেওয়া হত। আর সেই টাকাতেই চলত দেদার বে-আইনি কার্যকলাপ।

অ্যাকাউন্টে অবৈধ লেনদেন

শুধু তাই নয়, পিএফআই-এর তদন্তের সঙ্গে যুক্ত এক আধিকারিকের তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে পিএফআই হাওয়ালা অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা ট্রান্সফার করতে স্থানীয় লোকদের নাম ব্যবহার করত। অর্থাৎ উপসাগরীয় দেশ থেকে যে অর্থ এসেছে তা স্থানীয় অনুদান হিসেবে দেখানো হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা যখন সেই সব ঠিকানা ক্রস-ভেরিফাই করে, তখন সব তথ্য সামনে উঠে আসে। রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এটিকে পিএফআই-এর একটি দাতব্য সংস্থা হিসাবে বিবেচনা করা হত, তবে তদন্তে দেখা গেছে যে এই রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনটি পিএফআই-এর তহবিল সংগ্রহকারী শাখা যেখানে সৌদি আরব থেকে প্রচুর  কালো টাকা অ্যাকাউন্টে জমা হত।

ভারতবিরোধী অ্যাজেন্ডা

PFI এবং এর রাজনৈতিক সংস্থা SDPI-এর অনেক সিনিয়র নেতা কিছু NGO-এর সঙ্গে তুরস্কে যেতেন। তুরস্ক থেকে ভারতবিরোধী অ্যাজেন্ডা স্থির করা হয়। তুরস্কে, পিএফআই-এর সদস্যরা সিরিয়ায় সন্ত্রাসে যে সব সংস্থা থেকে হাওলার মাধ্যমে টাকা আসত তাদের সঙ্গে দেখা করত।  

ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধঘোষণা

শুধু তাই নয়, এন আই এ-এর কাছে পিএফআই এবং এসডিপিআই-এর সঙ্গে যুক্ত এমন কিছু মানুষের তালিকা রয়েছে যারা ইসলামিক স্টেটে যোগ দিতে দেশ ছেড়েছে। সূত্রের খবর, পিএফআই-এর অ্যান্টি-ইন্ডিয়া ব্রিগেড এই অ্যাজেন্ডায় কাজ করছিল, কিন্তু অপারেশন অক্টোপাস প্রতিটি পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেয়।

NIA PFI
Advertisment