Advertisment

যেন ডুবন্ত নৌকো, বড় ধাক্কা কংগ্রেসে, নির্বাচনের আগে পদত্যাগ আনন্দ শর্মার

দলের ওয়ার্কিং কমিটিতে ইতিমধ্যেই বিরোধী মঞ্চ তৈরি হয়েছে। প্রবীণ নেতাদের নিয়ে তৈরি হয়েছে জি২৩ গ্রুপ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
anand sharma

হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করলেন আনন্দ শর্মা। সামনেই হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে আনন্দ শর্মার এই পদত্যাগ দলের কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস নেতাদের একাংশ।

Advertisment

দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে পদত্যাগপত্রে শর্মা লিখেছেন, তিনি আত্মসম্মানের সঙ্গে আপস করেন না। তাই হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করছেন। এর কয়েকদিন আগেই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদও জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেসের প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

চিঠিতে শর্মা অভিযোগ করেছেন, দলের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁকে বাদ দিয়েই সিদ্ধান্ত হচ্ছিল। তবে, প্রদেশের স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান পদ ছাড়লেও বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের হয়ে প্রচার চালাবেন বলেই শর্মা তাঁর চিঠিতে জানিয়েছেন। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্যসভায় দলের উপনেতা আনন্দ শর্মাকে গত ২৬ এপ্রিলই হিমাচল প্রদেশ স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত করেছিল কংগ্রেস হাইকমান্ড।

দলের ওয়ার্কিং কমিটিতে ইতিমধ্যেই বিরোধী মঞ্চ তৈরি হয়েছে। প্রবীণ নেতাদের নিয়ে তৈরি হয়েছে জি২৩ গ্রুপ। যারা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তীব্র সমালোচক বলেই পরিচিত। এই গ্রুপে ভূপিন্দর সিং হুডা, মণীশ তিওয়ারি, গুলাম নবি আজাদের পাশাপাশি আনন্দ শর্মার নামও রয়েছেন। ওয়ার্কিং কমিটির এই গ্রুপ, ব্লক থেকে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত নির্বাচনের মাধ্যমে দল গঠনে জোর দেওয়ার দাবি গত কয়েক বছর ধরেই করে চলেছে।

আরও পড়ুন- ‘বিজেপি নেতা’ ত্যাগীর গ্রেফতারিতে চাপে যোগী, ধৃতের সমর্থনে বিরাট সভা নয়ডায়

হিমাচলপ্রদেশের নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে লম্বা বলে পরিচিত আনন্দ শর্মা বরাবরই বলে থাকেন যে তিনি সম্মানের জন্য রাজনীতি করেন। এমনটাই দাবি, তাঁর ঘনিষ্ঠদের। কংগ্রেস সভানেত্রীকে লেখা চিঠিতে সেই শর্মাই অভিযোগ করেছেন যে, দলের প্রদেশ কমিটির বৈঠকে তাঁকে ডাকা হচ্ছে না। সেটা বেশ কিছুদিন ধরে চলছে। এতে তাঁর সম্মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। আর, তাই তিনি সম্মানের সঙ্গে কোনও আপস করতে নারাজ। সেই কারণে পদত্যাগ করলেন।

১৯৮২ সালে প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আনন্দ শর্মা। ১৯৮৪ সালে তাঁকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী রাজ্যসভার সাংসদ করেন। সেই থেকে আনন্দ শর্মা দলের রাজ্যসভার সাংসদ। দলের বহু গুরুত্বপূর্ণ পদও সামলেছেন। শর্মার পদত্যাগ যে দলের কাছে বেশ বড় ধাক্কা, তা মেনে নিচ্ছেন দলের ওয়ার্কিং কমিটির নেতারাও।

Read full story in English

CONGRESS Election Resignation
Advertisment