Goa Poll 2022: ফের বড় ধাক্কা গোয়া কংগ্রেসে। দলের সদস্যপদ ছাড়লেন অপর এক বিধায়ক অ্যালেক্সো লরেন্সো। তাঁর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের সম্ভাবনা তুঙ্গে। সোমবার সন্ধ্যা কলকাতায় পৌঁছেছেন লরেন্সো।
যদিও বাইশের বিধানসভা ভোটে লরেন্সোর প্রার্থীপদ নিশ্চিত করেছিল কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। গতবার জিতে আসা কুরটোরিম আসনই তাঁর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। পাশাপাশি গোয়া প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী পদে বসানো হয়েছিল এই বিধায়ককে। তারপরেও লরেন্সোর এই পদক্ষেপকে ‘স্বার্থপরতা’ হিসেবেই দেখছে প্রদেশ কংগ্রেস। প্রদেশ সভাপতি গিরিশ চোদনকর বলেছেন, ‘কুরটোরিম ব্লক কমিটি বৈঠকে বসে বিকল্প প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করবে। আমাদের কাছে অনেক বিকল্প রয়েছে।‘
প্রদেশ সভাপতি বিজেপি-তৃণমূলের গোপন আঁতাতের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘বিজেপি, তৃণমূলকে গোয়ায় ঢুকিয়েছে। তাদের রণকৌশল ঠিক করে দিচ্ছে। তাই নিত্যনতুন এই ধরনের নাটক বেশি করে দেখা যাচ্ছে।‘ জানা গিয়েছে, বাইশের ভোটের আগে গোয়া কংগ্রেসে আপাতত হেভিওয়েট মুখ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রতাপসিং রানে এবং বিরোধী দলনেতা দিগম্বর কামাত। ইতিমধ্যে মারগাও থেকে কামাতের প্রার্থীপদ চূড়ান্ত করেছে প্রদেশ কংগ্রেস। এই নির্বাচন লড়বেন কিনা, সেই সিদ্ধান্ত এখনও নিতে পারেননি প্রতাপসিং।
এদিকে, ২০১৭ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে ১৭টি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস। যদিও বিজেপির কৌশলে সরকার গড়তে পারেনি হাত শিবির। কিন্তু ২০১৯ সালে দলে কলহ বাড়ায়, একসঙ্গে ১০ জন বিধায়ক পদ্মশিবিরে যোগ দেন। চলতি বছর রাজ্যের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো এবং রবি নায়েক, তৃণমূল এবং বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এদিন ইস্তফা দিলেন দলের আরও এক বিধায়ক। সবমিলিয়ে গোয়া কংগ্রেসে অব্যাহত ঘরভাঙা। যার ফলে আগামি দিনে বিরোধী শিবিরের পরিসরে ঢুকে পড়তে পারে আম আদমি পার্টি কিংবা তৃণমূল কংগ্রেস।
তবে, বাইশের ভোটে বিজেপিকে হারাতে কোমর বেঁধেছে বিরোধী শিবির। সে রাজ্যে ইউনিট খুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির বিরোধী ছোট দলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে কংগ্রেস। পাশাপাশি গোয়া দখলে একাধিক ঘোষণা ইতিমধ্যে করেছে আম আদমি পার্টি। আরব সাগরের তীরের ছোট্ট রাজ্য গোয়ায় গিয়ে সম্প্রতি উন্নয়নে ‘বাংলা মডেল’ তুলে ধরেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। প্রতিশ্রুতি ছিল সৈকত রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা ভোটে জোড়া-ফুল পাপড়ি মেললে বাংলার সব সামাজিক প্রকল্পই বাস্তবায়িত হবে। গোয়ার মহিলা ভোটারদের আস্থা জয়ে এবার তাই বাংলার লক্ষ্ণীর ভাণ্ডারের আদলে ‘গৃহলক্ষ্মী কার্ডে’র ঘোষণা তৃণমূলের। গোয়ায় তৃণমূল ক্ষমতায় এলে মহিলাদের পাঁচ হাজার টাকা করে সরকার দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বাংলার শাসক দলের তরফে।
অপরদিকে, এর আগে পাঞ্জাবেও একই ঘোষণা করেছিলেন। এবার গোয়া বিজয়ে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের মহিলাদের ১ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করলেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
কেজরিওয়াল এই ঘোষণার পর দাবি করেন, বিশ্বের কোনও সরকার এইরকম প্রকল্প চালু করেনি। তাঁর কথায়, “নারীশক্তির বিকাশ মানে কী? যখন মহিলারা আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী থাকবেন তখনই বিকাশ সম্ভব। অর্থে শক্তি আছে। যখন মহিলাদের কাছে নিজের টাকা থাকবে তখনই তাঁরা স্বাধীন হবেন।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন