Advertisment

'Modi-বিরোধী ফ্রন্ট নিয়ে আলোচনা হয়নি', Delhi-র বিরোধী বৈঠকের কী নির্যাস?

Anti-BJP Third Front: রাজ্যসভার সাংসদ মজিদ মেমন বলেন, ‘কংগ্রেসকে বয়কট করে এই বৈঠক নয়। ওদের ৫ সাংসদকে ডাকা হয়েছিল।‘

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Poll strategist Prashant Kishor meets NCP supremo Sharad Pawar

যদিও এদিনের বৈঠক শরদ পাওয়ার ডাকেনি। এমনটাই জানা গিয়েছে।

তোরজোড় থাকলেও দিনের শেষে ঝুলি থেকে বেরোল বিড়াল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানা গিয়েছে, পাওয়ারের বাসভবনে যে বৈঠক হয়েছে, সেটা শরদ পাওয়ার ডাকেনি। ডেকেছিলেন যশবন্ত সিনহা, বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান আরএলডি নেতা জয়ন্ত চৌধুরী এবং এনসিপির মজিদ মেমন। রাজ্যসভার সাংসদ মজিদ মেমন বলেন, ‘কংগ্রেসকে বয়কট করে এই বৈঠক নয়। ওদের ৫ সাংসদকে ডাকা হয়েছিল।কিন্তু দিল্লিতে অনুপস্থিতির কারণ দেখিয়ে তাঁরা আসতে পারেননি।‘ জয়ন্ত চৌধুরী বলেন, ‘দেশের মধ্যে একটা বিকল্প ভাবধারা তৈরি করতে এক বৃহৎ রাষ্ট্রমঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।এই মঞ্চের কাজ দেশের সামাজিক এবং আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন, গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায়ে কাজ করা। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষ এবং সাধারণ নাগরিক এই মঞ্চের সদস্য।‘

Advertisment

জানা গিয়েছে, যারা প্রবাসী কিন্তু দেশের জন্য কাজ করতে চান, তাঁদের কীভাবে সঙ্গে নেওয়া যায়? সেই নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। পেট্রোপণ্যের মুল্যবৃদ্ধি নিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে সরকার। রাষ্ট্রমঞ্চ সেই প্রতিবাদে সরব হবে। মানুষের পকেটের টাকা দিয়ে কেন্দ্রের কোষাগার ভরানো বন্ধ করতে সরকারকে আবেদন করবে মঞ্চ। এমনটাই সংবাদমাধ্যমকে জানান জয়ন্ত চৌধুরী।

তবে, এই বৈঠকে আদৌ ২০২৪-এর মোদী-বিরোধী ফ্রন্ট গঠনের কোনও আলোচনা হয়েছে কিনা, স্পষ্ট করেননি আরএলডি নেতা। তিনি বলেছেন, ‘দেশের মধ্যে বিকল্প ভাবধারার পরিবেশ তৈরি করে আগামি দিনে আরও প্রতিষ্ঠিত মানুষকে মঞ্চের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।‘

জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে সিপিএম-র নীলোৎপল বসু, আপের এক সাংসদ, সিপিআই সাংসদ-সহ আরজেডি, জেডিইউ-এর এক প্রাক্তন নেতা এবং অমর আবদুল্লা উপস্থিত ছিলেন। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠিত হিসেবে জাভেদ আখতার যোগ দিয়েছিলেন বৈঠকে। এদিকে, এদিন এই ১৪টি রাজনৈতিক দলের বৈঠককে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

তিনি বলেন, ‘বহুদিন ধরে এই তৃতীয়, চতুর্থ ফ্রন্টের গল্পটা দেখে আসছি। সবশেষে একমাত্র মোদী ফ্রন্ট থাকবে। গত কয়েক দশক ধরে বাংলা শাসন করেছে বামেরা। একটা সময় ওদের ২৩৫ জন বিধায়ক ছিল। আর এখন বিধানসভায় কোনও বিধায়ক নেই। লজ্জা হওয়া উচিত।‘ এই ফ্রন্ট মানুষ মেনে নেবে না। কারণ সবক’টি দল দুর্নীতিগ্রস্ত, আঞ্চলিক, এখন কংগ্রেস-সিপিএমও আঞ্চলিক দল হয়ে গিয়েছে। এমন কটাক্ষও করেছেন দিলীপ ঘোষ।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

CONGRESS Delhi Meeting
Advertisment