গরুপাচারকাণ্ডে তলব পেয়েও মঙ্গলবার সিবিআই দফতরে গেলেন না বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে ২ সপ্তাহ সময় দেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছেন জোড়া-ফুলের এই দোর্দদণ্ডপ্রতাপ নেতা। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এদিন হাজিরা না দেওয়ার কারণ হিসাবে অনুব্রত জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে। তিনি কোমর্বিড। ফলে আপাতত তাঁর বাড়ি থেকে বেরোনর বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে সিবিআই দফতরেরও যেতে পারছেন না তৃণমূলের এই নেতা।
সোমবারই গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর এক সঙ্গীকে নোটিস পাঠায় সিবিআই। মঙ্গলবারই তাঁকে হাজিরার দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই নোটিসের প্রেক্ষিতেই সোমবারই ভার্চুয়াল প্রচারে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তৃণমূল নেত্রী। প্রিয় কেষ্টকে নেত্রীর পরামর্শ, 'ডাকলেই যেতে হবে? কেন যাবে? বীরভূমে ২৯শে ভোট, তাই বলছি একদম যাবি না। নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ হলে যাওয়ার কথা বলবি।'
এই প্রেক্ষিতে এদিন সিবিআই দফতরে হাজিরা না দিয়ে 'দিদি'র আদেশই পালন করলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। তবে, দিদির কথা তদন্তকারী সংস্থাকে সরাসরি জানাননি অনুব্রত। নিয়ম মেনে দোহাই দিয়েছেই তাঁর শারীরিক অসুবিধার।
অনুব্রত মণ্ডলের আর্জির প্রেক্ষিতে এখনও সিবিআই-য়ের মতামত মেলেনি। এর আগে আয়কর বিভাগ তৃণমূলের এই নেতার আয়-ব্য়য়ের হিসাব তলব করেছে। অভিযোগ অনুব্রতবাবুরর হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি রয়েছে। তারপর সোমবার গরুপাচারকাণ্ডে তাঁকে নোটিস পাঠায় সিবিআই। ভোটের আগে যা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন