ফের বিতর্কে অনুব্রত মণ্ডল, বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। দলীয় নির্বাচনী বৈঠকে এক সরকারি আইনজীবীকে হাজতে থাকা এক তৃণমূল নেতার জামিন করানোর নির্দেশ দিয়ে। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ জমা পড়েছিল, একজন রাজনৈতিক নেতা কোন ক্ষমতাবলে, কোন অধিকারে একজন সরকারি আইনজীবীকে এভাবে 'জামিন' করিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারেন? কমিশন সেই অভিযোগেরই সূত্র ধরে নোটিশ পাঠিয়েছে অনুব্রতকে।
ঘটনার সূত্রপাত দিনকয়েক আগে বীরভূমে অনুষ্ঠিত হওয়া তৃণমূলের এক অভ্যন্তরীণ নির্বাচনী বৈঠকে, যেখানে বীরভূম কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়, বোলপুর কেন্দ্রের প্রার্থী অসিত মাল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরের পদাধিকারীরা। তৃণমূল সমর্থক সরকারি আইনজীবী মলয় মুখার্জিও হাজির ছিলেন বৈঠকে। মলয়বাবু জেলা তৃণমূলের অন্যতম সহ-সভাপতিও বটে।
আরও পড়ুন: Lok Sabha Election 2019: ‘এই তৃণমূল আর না’, বাবুলের রিংটোনের জেরে শোকজ ইসি-র
খয়রাশোল এলাকা প্রসঙ্গে আলোচনা যখন চলছে, তখন হঠাৎই অনুব্রত স্বভাবসিদ্ধ দাপুটে ভঙ্গিতে মলয়বাবুর উদ্দেশ্যে বলে ওঠেন, "মলয়, উজ্জ্বলের বেল করিয়ে দাও।" সেই নির্দেশের ভিডিও ক্লিপ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সংবাদমাধ্যমে।
কে উজ্জ্বল? গত বছর খয়রাশোলে খুন হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা দীপক ঘোষ। অভিযোগ উঠেছিল, এই খুন দলীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। পুলিশি তদন্তে গ্রেফতার হয়েছিলেন এলাকার দাপুটে নেতা আব্দুল হক কাদেরি ওরফে উজ্জ্বল। ভোটের আগে সেই 'উজ্জ্বল'-এরই 'জামিন' করানোর নির্দেশ দিয়ে কমিশনের বিরাগভাজন হয়েছেন অনুব্রত। কী করে এক রাজনৈতিক নেতা এভাবে একজন সরকারি আইনজীবীকে 'জামিন' করানোর নির্দেশ দিতে পারেন, বিরোধীদের এই অভিযোগ পেয়ে অনুব্রতকে নোটিশ পাঠিয়েছে কমিশন।
অনুব্রত আছেন অনুব্রততেই। বিতর্ক তাঁর পিছু ছাড়ে না। তিনিও পিছু ছাড়েন না বিতর্কের। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে 'নকুলদানা' খাওয়ানোর নিদানের রেশ কাটতে না কাটতেই উপস্থিত কাহিনীর নতুন আখ্যান।