চেনা মাঠে ফিরেই নিজস্ব মেজাজে তৃণমূলের কেষ্ট। কলকাতা থেকে দেড় মাস পর বোলপুরে ফিরলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে জেলায় স্বাগত জানাতে এ দিন প্রচুর ভিড় ছিল। নেতাকে সংবর্ধনার জোয়ারে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। শাসক দলের দোর্দদণ্ডপ্রতাপ নেতার কালো এসইউভির সামনে গেরুয়া ফুলের সাড়ি।
বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি গাড়ি থেকে নামতেই স্লোগানের বন্যা। যা দেখে, শুনে আপ্লুত কেষ্টবাবু। এসবের মধ্যেই তাঁর বাড়ির কাছের অস্থায়ী মঞ্চের সামনে অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি থামে। চেনা মেজাজে গাড়ি থেকে নামেন তিনি। সোজা উঠে পড়েন সংবর্ধনা মঞ্চে। তাকে দেখেই হাততালি দিতে থাকেন জনতা।
মঞ্চে রক্ষীদের কাঁধে ভর দিয়ে দাঁড়ান অনুব্রত মণ্ডল। হাতে নিনে নেন মাইক্রোফোন। এরপরই কিছুটা আবেগতাড়িত গলায় দলীয় অনুগামীদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'আমি আছি। মরি নাই। আমি এখন আপনাদের আশীর্বাদে অনেকটাই সুস্থ। তবে আমাকে কিছুদিন বিশ্রাম নিতে হবে। কিছু মনে করবেন না।'
এরপরই নেতাসূলভ বক্ততা দেন ডাকসাইটে নেতা অনুব্রত। দলের নেতা, কর্মীদের প্রতি তাঁর বার্তা, 'মানুষের পাশে থাকুন। উন্নয়ন করুন। কেউ অন্যায় কাজে যুক্ত থাকবেন না।'
উল্লেখ্য, দেড় মাস আগে শারীরিক অসুস্থতার জেরে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে আসেন অনুব্রত মণ্ডল। ভর্তি হন এসএসকেএময়ের উডবার্ন ওয়ার্ডে। তার মধ্যেই গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে সিবিআই নোটিস পাঠায়। কিন্তি শীরিক অসুস্থতার কথা বলে হাজিরা এড়ান তিনি। কিন্তু, দিন কয়েক আগেই নিজেই সিবিআই দফতরে মেইল করে হাজিরার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তারপর তাঁকে জেরা করে সিবিআই। আগামী সপ্তাহে ফের তাঁকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
গত দেড় মাস মুখ বন্ধ করেই কাঠিয়েছেন কেষ্ট। কিন্তু, তাঁর প্রতি ঘরের লোকেদের ভালোবাসা, আস্থা দেখে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলেন না জেলা সভাপতি। মাইক হাতেই দিলেন বার্তা।