সকালে সিবিআই সমন পেয়েই বিকেলে বোলপুরের বাড়ি থেকে কলকাতার পথে অনুব্রত মণ্ডল। তাহলে কি লক্ষ্মীবারেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে হাজিরা দেবেন দোর্দদণ্ডপ্রতাপ এই নেতা। সে বিষয়টিই দুয়ারে দাঁড়িয়ে খোলসা করে দিয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি।
কী বলেছেন অনুব্রত?
গত মাসের ৬ তারিখ কয়লাপাচার কাণ্ডে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি এসএসকেএমে প্রবেশ করেছিল। শারীরিক অসুস্থ বোধ করায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাঁকে। সেখানে প্রায় দু'সপ্তাহ ছিলেন এই তৃণমূল নেতা। পরে চিনার পার্কের ফ্ল্যাটে ছিলেন অনুব্রত। সেই সময়ও তাঁকে সমন পাঠায় সিবিআই। তবে শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে সেই সময় হাজিরা দেননি তিনি। পরে, ১৯ মে নিজাম প্যালেসে গরুপাচার মামলায় তদন্তে সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দেন তৃণমূলের এই কার্যসমিতির সদস্য।
কয়েক ঘন্টা জেরা শেষে অসুস্থ বোধ করেন অনুব্রতবাবু। নিজাম প্যালেস থেকে তাঁকে সোজা এসএসকেএমে যেতে দেখা যায়। এরপর দিনই (২০ মে) বোলপুরে ফেরেন তিনি। জনতার বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছিল। অনুব্রত বলেছিলেন, 'আপনাদের ভালোবাসার জন্যই আমি মরি নাই, এখনও বেঁচে আছি।'
এর পর ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ফের সিবিআই অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করেছিল। কিন্তু শারীরিক দুর্বলতার কথা বলে সেই হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। কিন্ত ওই মামলাতেই ফের এ দিন সকালে তাঁকে সমন পাঠায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তারপরই ১১ দিন পর বুধবার বিকেলেই কলকাতার উদ্দশ্যে রওনা হন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি।
তাঁর কলকাতায় আসা কী তাহলে সিবিআই হাজিরার জন্যই? জবাবে অনুব্রত বলেছেন, 'চিকিৎসকদের কাছে যাওয়ার কথা রয়েছেশুক্রবার। শরীর ভাল নেই। কিন্তু কলকাতায় চিকিৎসকের কাছে তো যেতেই হবে।'
বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় এর আগে সিবিআই গোয়েন্দাদের মুখোমুখি হয়েছেন তৃণমূল বীরভূম জেলা সভাপতি।