ডাকবাংলো মোড় থেকে চৌরাস্তা। ব্যান্ড বাজছে। বাড়ির উপর থেকে ফুল পড়ছে। জনজোয়ারে ভেসে এগিয়ে চলেছেন অমিত শাহ। পরে শাহের 'জয় শ্রীরাম' ধ্বনিতে যেন জনতার বাঁধ ভাঙল। অনুব্রত গড়ে গেরুয়া শক্তি প্রদর্শনের বিরল ছবি। এই জনজোয়র কী বাংলার রাজনীতির ভবিষ্যতের ইঙ্গিতবাহী? তাহলে কী এবার বাংলায় পদ্ম পাপড়ি মেলার অপেক্ষা?
কী বলছেন অনুব্রত মণ্ডল?
বোলপুরে এ দিন অমিত শাহের মেগা ব়্যালিতে ভিড় ছিল উপচে পড়া। তবে, একে আমল দিতে নারাজ খোদ বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। উল্টে এখানেও 'বহিরাগত' তত্ত্ব হাজির করলেন নেত্রীর আস্থাভাজন কেষ্ট। দলীয় বঙ্গধ্বনী কর্মসূচির মাঝেই নিজস্ব কায়দায় বললেন, 'বিজেপি বহিরাগতদের এনে এই ব়্যালি করছে। আমি জেলার লোক নিয়ে মিছিল করি। কয়েকটা ব্লক নিয়ে মিছিল করলেই এর থেকে বেশি ভিড় জমিয়ে দিতে পারি।'
এখানেই থেমে যাননি অনুব্রত। উল্টে কিছুটা চ্যালেঞ্জের সুরেই তাঁর দাবি, 'আগামী ৪ জানুয়ারি থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় সভা শুরু হবে। প্রতিটা ব্লকে ৮০ হাজার করে লোক থাকবে।' এরপরই তৃণমূল নেত্রীর পদযাত্রার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তিনি বলেন, 'মমতাদির সভা-মিছিল হলে পাঁচ-ছয়'টা ব্লক থেকে মিছিল তাতেই চার-পাঁচ লাখ লোক হয়ে যায়। এসব আমাদের কাছে কোনও ব্যাপার নয়।'
বিজেপির এ দিনের কর্মসূচিতে যে ভিড় হয়েছে তাতে কি তিনি ভীত? অনুব্রত মণ্ডল বলেন, 'আমিত শাহ রোজ আসুন। এতে তৃণমূলের ভাল হবে। উৎসাহিত হবে দলের কর্মীরা।' একই সঙ্গে বলেন, শুভেন্দু হোক বা অন্য কেই- তৃণমূল ছাড়লে ক্ষতি দলত্যাগীদের। ফের বাংলার ক্ষমতায় আসবে তৃণমূল।
অন্যদিকে এ দিন রোড শোয়ে শাহের গাড়িতে হাজির বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, 'বিপুল মানুষের এই সমাগমই প্রমাণ করছে অত্যাচারী মমতা সরকারের পতন আসন্ন। এবার বাংলায় উন্নয়ের বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।'
জনজোয়ারে 'বহিরাগত' তত্ত্বের অভিযোগ উড়িয়ে বিজয়বর্গীয়র দাবি, 'ওরা বহিরাগত জুজু দেখছে। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা জেলার বিভিন্নপ্রান্ত থেকে নিজেরাই গাড়ি করে এসেছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন