রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেয়েছে এই প্রস্তব। তারপরই এই ইস্যুতে নানা চর্চা চলছে। যা নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা।
অনুপমের টিপ্পনি, যেকোনও দিন মমতা নিজেকে পশ্চিমবঙ্গের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ঘোষণা করতে পারেন। যা দেখে মুহম্মদ বিন তুঘলকও নাকি বেঁচে থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন।
টুইটে অনুপম হাজরা লিখেছেন, 'সাফল্যের সঙ্গে নিজের অনুপ্রেণায় নিজেকে সহিত্য একাডেমি অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার পর , মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করলেন- সমস্ত State University'র আচার্য হবেন!!! এরপর হঠাউ কোন দিন ঘোষণা করবেন- এরপর থেকে আমাকে আর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলবেন না, আমি এখন থেকে পশ্চিমবঙ্গের প্রধানমন্ত্রী!!! আমি নিশ্চিৎ মুমহ্হমদ বিন তুঘলক বেঁচে থাকলে এনাকে নিয়ে insecure fill করতেন!!!'
এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরি কমিশনের রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য বরাদ্দ অর্থ পাঠানো বন্ধ করে দেওয়া উচিত বলেও দাবি করেছেন অনুপম হাজরা।
বৃহস্পতিবার ছিল রাজ্য মন্ত্রিসভার ক্যাবিনেট বৈঠক। সেখানেই স্থির হয়েছে যে, আর রাজ্যপাল নন, রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীই। এই মর্মেই মন্ত্রিসভার সিলমোহর পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য চেয়ে বিধানসভায় রাজ্য সরকারের পক্ষে বিলও আনা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ওই বিল পাসের পর তা আইনে পরিণত হবে। সূত্রের খবর, ওই বিলে রাজ্যপাল অনুমোদন না দিলে তা অর্ডিন্যান্স আকারে তা আনা হবে।
কেন এই সিদ্ধান্ত? নবান্নের ব্যাখ্যা- ২০১০ সালে পুঞ্চি কমিশন মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালেয়র আচার্য হিসাবে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল। সেই কমিশনের সদস্য ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। পুঞ্চি কমিশনের সেই সুপারিশ মেনেই রাজ্য মন্ত্রিসভার এ দিনের সিদ্ধান্ত।
মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব বিজেপি। বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন যে, 'তিনিই শুরু, তিনিই শেষ। তাঁর হাতেই সব। তিনি চেয়েছেন যখন সেটাই হবে। এরা পশ্চিমবঙ্গকে স্বাধীন অঙ্গরাজ্য ভাবতে শুরু করেছে।। নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার কঙ্কালসার অবস্থা বেরিয়ে পড়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে চরম দুর্নীতি মানুষ বুধতে পারছেন। আজকের সিদ্ধান্ত সেদিক থেকে দৃষ্টি ফেরাতেই করা হয়েছে।'