Advertisment

অনুরাগ, পরবেশদের প্ররোচনামূলক প্রচারের বিধানসভাগুলোয় খাবি খাচ্ছে বিজেপি

রিঠালায় এক সমাবেশে ভাষণ দেবার সময়ে অনুরাগ ঠাকুর স্লোগান দিতে থাকেন "দেশ কে গদ্দারোঁ কো", জনতা তার উত্তরে বলতে থাকে "গোলি মারো সালোঁ কো"।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

অনুরাগ ঠাকুর

অনুরাগ ঠাকুর ও পরবেশ সিংরা যে সব জায়গায় উত্তেজক মন্তব্য করেছিলেন, বিজেপি তার মধ্যে দুটি আসনেই হারতে চলেছে। উল্লেখ্য, প্ররোচনামূলক ভাষণ দেবার দায়ে অনুরাগ ও পরবেশের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন।

Advertisment

রিঠালা কেন্দ্রে অনুরাগ ঠাকুর এক সভায় জনতাকে দেশ কে গদ্দারোঁ কো গোলি মারো (দেশদ্রোহীদের গুলি করে মারা)-র স্লোগান দিতে প্ররোচিত করেছিলেন। সেখানে বিজেপির প্রার্থী মণীশ চৌধরী আপের মহিন্দর গোয়েলের কাছে ১৪ রাউন্ড গণনা শেষে ৫৫০৪ ভোটে পিছিয়ে।

বিকাশপুরী কেন্দ্রে, পরবেশ সিং বলেছিলেন, শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীরা ঘরে ঢুকে মা-বোনদের ধর্ষণ করবে। সেখানে আপ প্রার্থী মহিন্দর যাদব ষষ্ঠ রাউন্ড গণনার শেষে প্রায় ১৯ হাজার ভোটে এগিয়ে।

মাদিপুর কেন্দ্র, যেখানে পরবেশ সিং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে সন্ত্রাসবাদী বলেছিলেন, সেখানে বিজেপি প্রার্থী ১৪,৩২৬ ভোটে পিছিয়ে।

আরও পড়ুন: দিল্লি ভোটের ফলের দিন মৌন শাহিনবাগ

দুজন বিজেপি সাংসদকেই নির্বাচন কমিশন প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। পরে তাঁদের যথাক্রমে ৭২ ও ৯৬ ঘন্টার জন্য প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়। এঁদের দুজনের বিরুদ্ধে শো কজ নোটিসও জারি করা হয়। পরবেশ সিংয়ের উপর পরে সন্ত্রাসবাদী বলার জন্য আরও ২৪ ঘণ্টা নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।

রিঠালায় এক সমাবেশে ভাষণ দেবার সময়ে অনুরাগ ঠাকুর স্লোগান দিতে থাকেন "দেশ কে গদ্দারোঁ কো", জনতা তার উত্তরে বলতে থাকে "গোলি মারো সালোঁ কো"।

আরও পড়ুন: ‘হনুমানজির কৃপায় জিতেছি, স্ত্রীর জন্মদিনে কেক খেলাম, আপনাদেরও খাওয়াব’

পরে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে নিজের সাফাই গাইতে গিয়ে অনুরাগ ঠাকুর বলেন, তিনি শুধু মানুষকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন দেশদ্রোহীদের সঙ্গে কী করা উচিত। তিনি বলেন, "আমি শুধু চেয়েছিলাম মানুষ বলুন যে তাঁরা দেশদ্রোহীদের সঙ্গে কী করতে চান। এর উত্তর ভোট হারান বা ছুড়ে ফেলে দিন ও হতে পারত। কিন্তু মানুষ ওরকম বলেছেন।"

পরবেশ সিং বিকাশপুরীতে এক সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, "দিল্লিতে কাশ্মীরের মত পরিস্থিতি তৈরি হবে। তিনি আরও বলেন, শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীরা বাড়িতে ঢুকে আমাদের মা বোনেদের ধর্ষণ করতে পারে।" শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীরা মূলত মহিলা।

তিনি বলেন, "দিল্লির মানুষ জানে কাশ্মীরে কী হয়েছে, কাশ্মীরের পণ্ডিতদের মেয়ে ও বোনদের ধর্ষণ করা হয়েছে। একই ঘটনা ঘটে চলেছে উত্তর প্রদেশ, হায়দরাবাদ, কেরালায়। আজ দিল্লির এক জায়গায় সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ওখানে লাখ লাখ লোক জড়ো হয়েছেন। দিল্লির মানুষ ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেবেন। ওরা আপনাদের বাড়িতে ঢুকতে পারে, বোন ও মেয়েদের ধর্ষণ করে খুন করতে পারে। এখন এমন একটা সময়, মোদীজী আর অমিত সাহ কাল আপনাদের বাঁচাতে আসবে না... প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজত্বে সবাই সুরক্ষিত। অন্য কেউ দায়িত্বে এলে এখানে কেউ নিরাপদ থাকবে না।"

AAP
Advertisment