অন্ধ্রপ্রদেশের নতুন মন্ত্রীসভায় জায়গা পেতে চলেছেন ৫ জন উপ-মুখ্যমন্ত্রী! ভারতে এই ঘটনা নজিরবিহীন। শুক্রবার ওয়াই এস আর কংগ্রেসের নবনির্বাচিত বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন ওয়াই এস জগন্মোহন রেড্ডি। সেখানেই তিনি জানান, নতুন মন্ত্রীসভায় জায়গা পাবেন মোট ২৫ জন। তাঁদের মধ্যে ৫ জন উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব সামলাবেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর জগন চান সমাজের সব অংশকে খুশি করতে। সেই উদ্দেশ্যেই ৫ জন উপমুখ্যমন্ত্রী নিয়োগের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
ওয়াই এস আর কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, "সমাজের সব অংশের মানুষই জগনের উপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছেন। তাই হবু মুখ্যমন্ত্রী চেষ্টা করছেন মন্ত্রীসভায় সমাজের প্রতিটি অংশের সঠিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে"। বৈঠকে উপস্থিত বিধায়কদের জগন জানিয়েছেন, ৫ জন উপমুখ্যমন্ত্রী যথাক্রমে তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি, পিছিয়ে পড়া জনজাতি, সংখ্যালঘু এবং কাপু জাতির প্রতিনিধিত্ব করবেন। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের নির্বাচনে কাপু জনগোষ্ঠিী তেলগু দেশম পার্টিকে সমর্থন করেছিল। কিন্তু এবার তাঁরা জগনের পশে দাঁড়িয়েছেন। জগন আরও জানিয়েছেন, মন্ত্রীসভায় ওয়াই এস রাজশেখর রেড্ডির সঙ্গে কাজ করা সিনিয়র নেতাদের পাশাপাশি তরুণ বিধায়কেরাও থাকবেন।
জানা যাচ্ছে, মন্ত্রীসভায় যাঁরা জায়গা পেতে পারেন, তাঁদের মধ্যে আছেন কাডাপার বিধায়ক আহমেদ বাসা, পূর্বতন কংগ্রেস মন্ত্রী বৎসা সত্যনারায়ণ, পিল্লি সুভাষচন্দ্র বোস, ধর্মানা প্রসাদ রাও, শ্রীনিবাস রেড্ডি, আম্বাতি রাম বাবু, এ রামকৃষ্ণ রেড্ডিরা। রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিমত, ১৫১ জন বিধায়কের মধ্যে মন্ত্রীত্ব প্রত্যাশীদের প্রত্যেককে খুশি করা জগনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। বিধায়কদের তিনি জানিয়েছেন, মন্ত্রীরা আড়াই বছরের জন্য দায়িত্ব পাবেন। যদি কেউ ভাল কাজ না করতে পারেন, তাহলে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
নবনির্বাচিত বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে জগন জানিয়েছেন, তিনি কোনওরকম দুর্নীতি সহ্য করবেন না। তাঁর কথায়, "জনগণ আমাদের দিকে কড়া নজর রাখছেন। আমরা বিপুল জনাদেশ পেয়েছি ঠিকই, পাশাপাশি আমাদের উপর বিরাট দায়িত্বও এসে পড়েছে। আমরা কোনও স্তরেই দুর্নীতি বরদাস্ত করব না। সর্বক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে"।