/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/05/madan-mitra-and-arjun-singh.jpg)
মদন মিত্র ও অর্জুন সিং (ফেসবুক)
রক্ত ঝরেছিল নির্বাচনের সময়েই। পুত্র পবন সিংকে জিতিয়ে অর্জুন সিং প্রমাণ করলেন তাঁর রক্তঝরা বৃথা যায়নি। নির্বাচনের সময়ে লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল দু-পক্ষের তরফেই। তবে বৃহস্পতিবারে একতরফা 'খেলে গেলেন' পবন। প্রায় ২১ হাজার ব্যবধানে তিনি পরাজিত করলেন মদন মিত্রকে।
গুলি, বোমা, সাংবাদিক হেনস্তা হোক বা মৃত্যু! ভাটপাড়ার এবার ভোটের অভিজ্ঞতা ছিল রীতিমতো আতঙ্কের। গণনার শুরু থেকেই ইঙ্গিত ছিল বাহুবলী অর্জুনের কাছে ধরাশায়ী হতে চলেছেন মদন মিত্র।
ব্যারাকপুর লোকসভা ও ভাটপাড়ার উপনির্বাচন- দুটোই ছিল অর্জুনের কাছে রীতিমতো প্রেস্টিজ ফাইট। সম্মানের যুদ্ধে মুখে হাসি অর্জুনেরই। কারণ ভাটপাড়া উপনির্বাচনের পাশাপাশি ব্যারাকপুরেও দীনেশ ত্রিবেদীকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি। ব্যারাকপুরেও চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। কখনও এগিয়ে দীনেশ, কখনও বা অর্জুন।
Lok Sabha General Election 2019: গেরুয়া ঝড়ের ইঙ্গিতে উল্লাস শহরে! কোথাও ‘শান্ত’, কোথাও ‘গরম’
গোটা দেশেই নির্বাচন। তার আগে স্রেফ উপনির্বাচনের কারণেই শিরোনামে উঠে এসেছিল ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ভাটপাড়া বিধানসভার উপনির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনের কিছুদিন আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বিধায়ক অর্জুন সিং। তিনি লোকসভার প্রার্থী হওয়ায় ভাটপাড়ার বিধায়ক পদ থেকে সরে দাঁড়ান। ছেড়ে যাওয়া সেই কেন্দ্রেই এবার উপনির্বাচন।
নির্বাচনের সময়ে বুথ দখল, ছাপ্পা, বোমাবাজির অভিযোগ ছিল দুই তরফেই! নির্বাচনোত্তর সময়ে সংঘর্ষে একজনের মৃত্যুও হয়েছে। তবে কোনও দলই সেই মৃত্যুর দায় স্বীকার করা তো দূরের, নিজেদের কর্মী মানতেই অস্বীকার করেছেন। রাজনৈতিক সংঘর্ষের কারণেই কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে গিয়েছে এলাকায়।
যাইহোক, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের সমস্ত রাজনৈতিক উত্তাপই হাজির ছিল ভাটপাড়ায়। তবে গণনার সময় মুখে হাসি অর্জুনের। শাসক দলের বাহিনীর বিরুদ্ধে মাটি কামড়ে পড়ে থেকেছেন। রক্তাক্ত হয়েছেন, পড়ে গিয়েছেন। নির্বাচনের সময়ে নিজস্ব সঙ্গী-সাথী নিয়েই লড়ে গিয়েছেন তিনি। তাঁর এই শ্রম যে বৃথা যায়নি, গণনায় তা প্রতিফলিত।