অর্জুনের ঘরওয়াপসির দিনই পদত্যাগের প্রশ্নের মুখে পড়তে হল তাঁকে। কিন্তু সেই প্রশ্নের উত্তরে কৌশলে অধিকারী পরিবারকে নিশানা করলেন বারাকপুরের সাংসদ। সাফ জানালেন, "দুজনে সাংসদ রয়েছেন, যাঁরা তৃণমূলের প্রতীকে লোকসভায় জিতেছেন। অথচ এখন তাঁরা বিজেপি করছেন। তাঁরা আগে ইস্তফা দিন। আমার ইস্তফা দিতে এক ঘণ্টাও লাগবে না। দিল্লি যেত যতটুকু সময় লাগে, ততটুকু অপেক্ষা করতে হবে।"
Advertisment
এদিন নিজের বক্তব্যে যে তিনি নাম না করে অধিকারীদের নিশানা করেছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী এবং বাবা শিশির অধিকারী তৃণমূলের প্রতীকে লোকসভায় জিতলেও এখন দলের সঙ্গে দূরত্ব। শিশিরবাবুকে তো অমিত শাহের দেখা গিয়েছিল। এদিন অধিকারীদের নাম মুখে না এনেও তীব্র কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন অর্জুন। এর আগেও যাঁরাই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, তাঁরাই শুভেন্দু এবং অধিকারীদের আক্রমণ করেছেন।
উল্লেখ্য, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর পরই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। নৈতিকতার প্রশ্নে তিনি নিজেকে স্বচ্ছ রেখেছিলেন। পরে বালিগঞ্জে বিধানসভা উপনির্বাচনে জিতে বিধায়কও হয়েছেন। অর্জুন কিন্তু ইস্তফা দেওয়ার কথা মুখে আনেননি। নৈতিকতার প্রশ্ন থাকলেও শর্ত রেখেছেন। এবার দেখার অর্জুনের মন্তব্যের কোনও বিরোধিতা করেন কি না অধিকারীরা।
এদিন অর্জুন বলেন, “তৃণমূলের টিকিটে জিতে দুজন সাংসদ বিজেপিতে চলে গিয়েছেন। তাঁরা এখনও ইস্তফা দেননি। ওঁরা আগে ইস্তফা দিলেই এক সেকেন্ডও লাগবে না আমি ইস্তফা দিয়ে দেব। নৈতিকতা আমিও জানি। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই করব। বললে কালকেই ইস্তফা দিয়ে উপনির্বাচনে দল মনোনীত করলে আমি প্রস্তুত আছি।”