চেনা জমিতে কাজ করল না অর্জুন সিং ম্যাজিক। ভাটপাড়া পুরসভা হাতছাড়া হল বিজেপির। একচেটিয়াভাবে জিতল রাজ্যের শাসক দল।
মোট ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে এবার ভোট হয়েছিল ৩৪টিতে। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থীর মৃত্যুর কারণেসেখানে ভোট স্থগিত ছিল। ফলপ্রকাশে দেখা যাচ্ছে যে, ৩৪টির মধ্যে ৩৩টিতে জয় হাসিল করেছে তৃণমূল।
২০১৫ সালেও ভাটপাড়ায় একছত্র জয় পেয়েছিল ঘাস-ফুল শিবির। ৩৫টির মধ্যে ৩৪টিতে জয় পেয়েছিল তৃণমূল, একটিতে জেতে সিবিআইএম প্রার্থী।
কিন্তু, সেবার অর্জুন সিং ছিলেন তৃণমূলে। ২০১৯ সালে তিনি বিজেপিতে যাওয়ার পর ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের রাজনৈতিক সমীকরণের অদলবদল হয়। ভাটপাড়া দখল করে গেরুয়া বাহিনী। কিন্তু, এর দু'বছরের মাথায় একুশের বিধানসভা ভোটে রাজ্যজুড়ে সবুজ ঝড় বয়ে যায়। বিপুল ভোটে যেতে তৃণমূল। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলেও জয় পায় শাসক দল। যার হাত ধরে আবারও ভাটপাড়া সহ ওই শিল্পাঞ্চল এলাকার রাজনৈতিক বিন্যাসে বদল ঘটে। কাউন্সিলরদের দলবদলে ভাটপাড়ায় ওজন বাড়ে তৃণমূলের। পরে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় পুরপ্রশাসক বলে ওই পুরসভায়।
এখানেই শেষ নয়। ভোটের কয়েকদিন আগে অর্জুন সিংয়ের ভাইপো সৌরভ ও নোয়াপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক ও তাঁর ছেলে তৃণমূলে যোগ দেন। সৌরভ সিং ছিলেন ভাটপাড়ার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও এবারের পুরভোট প্রার্থীও। কিন্তু তাঁর হঠাৎ দলবদলে প্রকট হয় বিজেপির কোন্দল। নিজের ওয়ার্ডে প্রার্থী না থাকায় এবার ভোট দিতে পারেননি বিজেপি সাংসদ।
এরপর ভোটে বিপুল জয় হাসিল করল তৃণমূল। তবে পদ্ম শিবির আগেই ভোটের দিন বহিরাগতদের এনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ দখলের চেষ্টার অভিযোগ করেছিল। কিন্তু, এই অভিযোগকে পাত্তা দিতে নারাজ শাসক দল।
ভাটপাড়ার পাশাপাশি নৈহাটি ৩১ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩১টি, ব্যারাকপুর ২৪টির মধ্যে ২৪টি ওয়ার্ডেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল।