দল তাঁকে সাংসদ পদ ছাড়তে বলেছে, নাকি তিনিই দলের কাছে পদ ছাড়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। রাজ্যসভা থেকে অর্পিতা ঘোষের ইস্তফার পরও এই প্রশ্নেই এখনও জোর গুঞ্জন তৃণমূলের অন্দরে। অর্পিতা অবশ্য স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, সংগঠনের হয়ে কাজ করতেই দলের কাছে সাংসদ পদ ছাড়তে চেয়েছিলেন তিনি। এরপরই সংগঠনে বড় পদ পেলেন বালুরঘাটের প্রাক্তন সাংসদ। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হলেন অর্পিতা ঘোষ।
তৃণমূলের তরফে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অর্পিতা ঘোষকে দলে নতুন পদে আনার কথা জানিয়েছেন।
গত বুধবার রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে আচমকাই ইস্তফা দিয়েছিলেন অর্পিতা ঘোষ। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা তৈরি হয়। কী কারণে ইস্তফা, তা নিয়ে শুরু হয় চর্চা। পরে স্বয়ং পদত্যাগী সাংসদই বিবৃতি দিয়ে সেই জল্পনা নিরসনের চেষ্টা করেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে লেখা চিঠিতে অর্পিতা জানিয়েছিলেন যে, আপাতত দলীয় সংগঠনের হয়েই কাজ করতেই আগ্রহী তিনি। ছাড়তে চান রাজ্যসভার সাংসদ পদ। দল তাঁর সেই দাবি মেনে নেয়।
আরও পড়ুন- Exclusive: কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের এলাহাবাদে বদলি প্রায় পাকা
গতকাল অর্পিতা ঘোষ সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ‘আমি লোকসভায় থেকেছি, দল আমাকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু আমার কোথাও গিয়ে মনে হয়েছে রাজ্যসভার চেয়ে আমি সংগঠনে হয়ে কাজ করলে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে দলকে বেশি এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব। সেটাই আমি দলকে জানিয়েছিলাম। যা দল মেনে নিয়েছে। আমি দলের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
এর আগে, তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা সভানেত্রী হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন অর্পিতা ঘোষ। ২০১৯-এর লোকসভায় বালুরঘাট কেন্দ্র থেকে পরাজিত হলে তাঁকে জেলা সংগঠন সাংলানোর ভার দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। পরে যদিও অর্পিতার সঙ্গে ওই জেলায় তৃণমূলের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্বের বিবাদ প্রকট হয়। ২০২০ সালে অর্পিতা ঘোষকে রাজ্যসভায় পাঠায় তৃণমূল। বছর ঘুরতেই তিনি সেখান থেকেও ইস্তফা দিলেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন