রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা অর্পিতা ঘোষের। ইস্তফাপত্র তিনি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডুর কাছে পাঠিয়েছেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, দলীয় নির্দেশ মেনেই এই ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে অর্পিতা ঘোষ জানিয়েছেন, দলের হয়েই তিনি কাজ করে যেতে চান। চিঠিতে অর্পিতা ঘোষ লিখেছেন, ''থিয়েটারে অনেক সফলভাবে কয়েক বছর কাটানোর পর, একজন কর্মী হিসেবে এবং সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য হিসেবে এই যাত্রা আমি খুবই উপভোগ করছি। লোকসভার সাংসদ থেকে দলের জেলা সভানেত্রী, রাজ্যসভার সাংসদ হওয়া পর্যন্ত দল আমাকে বিভিন্ন ভূমিকা দিয়েছে। আমি এই সুযোগগুলির জন্য সত্যিই কৃতজ্ঞ।''
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রী বাছাই থেকে স্পষ্ট, জাত-পাতের রাজনীতিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি
সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম পর্বে তৃণমূলের জমি আন্দোলনের মঞ্চে দেখা গিয়েছিল পরিবর্তকামী সাংস্কৃতিক কর্মীদের অন্যতম নাট্যব্যক্তিত্ব অর্পিতা ঘোষকে। সেই থেকেই জোড়া-ফুল শিবির ও তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে তাঁর সখ্যতা বাড়ে। পরে ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট আসন থেকে প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেবার ভোটে জয় পান অর্পিতা ঘোষ।
আরও পড়ুন- ‘সংবিধান মেনে কাজ করুন বিধানসভার অধ্যক্ষ’, ট্যুইটে পরামর্শ জগদীপ ধনকড়ের
কিন্তু পাঁচ বছর পর অবস্থার বদল হয়। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে অর্পিতাকে প্রার্থী করে। তাঁর বিরুদ্ধে সুকান্ত মজুমদারকে দাঁড় করায় বিজেপি। বিজেপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন অর্পিতা ঘোষ। এরপর, দলের সাংগঠনিক সর্বোচ্চ পদে বসানো হয় তাঁকে। ২০২০ সালে লোকসভার এই প্রাক্তন সাংসদকেই রাজ্যসভায় মনোনয়ন দেয় ঘাস-ফুল শিবির। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পান তিনি।
নিজের ইস্তফা প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা চিঠিতে অর্পিতা ঘোষ আরও লিখেছেন, ''২০২১ সালের মে মাসে আমাদের বিপুল জয়ের পর, দলে আরও ব্যাপকভাবে কী ভূমিকা পালন করা যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি। সে বিষয়েই আমি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমি মানুষের সেবা চালিয়ে যেতে চাই।''
মানস ভুঁইয়া বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী হওয়ায় রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে আগেই পদত্যাগ করেছিলেন তিনি। তাঁর ফাঁকা আসনে এবার তৃণমূলের প্রার্থী সদ্য দলে যোগ দেওয়া আসামের সুস্মিতা দেব। ভোট হবে ৪ঠা অক্টোবর। অর্পিতা ঘোষের পদত্যাগের ফলে রাজ্যসভায় এ রাজ্য থেকে আরও একটি আসন ফাঁকা হল। এই আসনে তৃণমূল কাকে প্রার্থী করতে পারে? অর্পিতার ইস্তফার কারণ জল্পনার মাঝেও এখন এই বিষয়টিও বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন