যে মঞ্চ থেকে রাজনৈতিক জীবনের হাতেখড়ি হয়েছিল তাঁর, রাজধানীর সেই রামলীলা ময়দানের মঞ্চেই তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আগামী পাঁচ বছরের জন্য দিল্লির সুশাসনের দায়িত্বভার কাঁধে তুলে নিলেন তিনি। এদিনই শপথ নেন তাঁর মন্ত্রিসভার বাকি সদস্যরা। ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন, মণীশ সিসোদিয়া, গোপাল রাই, কৈলাশ গেহলট ও ইমরান হুসেন।
শপথের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল বলেন, 'গত পাঁচ বছর দল দেখে নয়, সবার জন্য উন্নয়নের কাজ করেছি। রাজনীতিকে বড় করে দেখিনি। আগামী পাচবছরও সবাই একযোগে দিল্লির উন্নয়নের কাজ করব। এখন থেকে ২ কোটি দিল্লিবাসী আমার পরিবারের সদস্য। তাই সমস্যা হলে আমাকে বলতে দ্বিধা করবেন না।'
কেন্দ্রের সঙ্গে কাজ করেই দিল্লির উন্নয়ন করতে চান মুখ্যমন্ত্রী কেজরি। তিনি বলেন, 'পারস্পরিক সহায়তার ভিত্তিতেই কেন্দ্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই শহরের উন্নয়ন করতে চাই।' তাঁর ঘোষণা, 'প্রচারে আমার সম্পর্কে অনেক বাজে কথা বলেছিলেন বিরোধী নেতারা। আমি তাঁদের সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছি।' দিল্লিবাসী ভারতের বুকে নির্বাচনের অন্য নজির স্থাপণ করেছেন বলে দাবি করেন কেজরিওয়াল।
শপথ অনুষ্ঠান উপলক্ষে এদিন সকলা থেকেই দিল্লিবাসীর উচ্ছ্বাস নজরে পড়ে। জয়ের পরই কেজরিওয়াল জানিয়েছিলেন 'এই জয় দিল্লিবাসীর'। শপথেও দিল্লির বাসিন্দাদের যোগদানের জন্য আবেদন জানায় আপ নেতৃত্ব। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার দিয়ে মানুশের কাছে সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়। ১২টি এলইডি জায়ান্ট স্ক্রিনেও ধরা পড়ে শপথ অনুষ্ঠান।
#WATCH Arvind Kejriwal takes oath as Chief Minister of Delhi for a third term pic.twitter.com/C66e3cgxXw
— ANI (@ANI) February 16, 2020
সকলা থেকেই ভিড়ে ঠাসা রামলীলা ময়দান। শপথ অনুষ্ঠানকে 'দিল্লিকেন্দ্রিক' রাখতে চেয়েছেন কেজরি অ্যান্ড কোম্পানি। ব্যস্তার জন্য আসেননি প্রধানমন্ত্রী মোদী। তবে, আমন্ত্রণ জানানো হয়নি অন্য কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের। তালিকায় ছিল না অন্য কোনও দলের বড় নেতার নামও। ফলে কেজরির শপথ মঞ্চ বিজেপি বিরোধী দলগুলোর শক্তি প্রদর্শনের ক্ষেত্র হতে পারেনি।
আম আদমি দলের নেতার শপথে এসেছিলেন দিল্লির 'আম' মানুষজন। শনিবারই মণীশ সিসোদিয়া জানিয়েছিলেন সরকার চালাতে গত পাঁচ বছর বিভিন্নভাবে সহায় করেছেন এমন ৫০ জন রবিবারের শপথে থাকবেন। সেই মতো ছিলেন, দিল্লি সরকার পরিচালিত স্কুলের শিক্ষক, অলিম্পিয়াড জয়ী পড়ুয়ারা, মহল্লা চিকিৎসক, বাইক অ্যাম্বুল্যান্সের চালক, দমকল কর্মী, পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা। এছাড়াও ছিলেন বাস-অটো চালক, মেট্রো চালকরা।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন