দিল্লি সরকারের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মণীশ সিসোদিয়াকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই অভিযুক্ত করেছে। এই পরিস্থিতিতে আম আদমি পার্টির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে তাঁর ডানহাত বলে পরিচিত সিসোদিয়ার পাশে দাঁড়ালেন দলের সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। গুজরাতে তিনি জানিয়েছেন, সিসোদিয়ার ভারতরত্ন পাওয়া উচিত। তার বদলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সিসোদিয়ার পিছনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাড়া করে বেড়াচ্ছে।
কেন্দ্রের মত গুজরাতেও ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। সেই গুজরাতের বুকে নির্বাচনী প্রচারে স্বভাবতই বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন আপ সুপ্রিমো। কেজরিওয়াল বলেন, 'সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করা হতে পারে। কে জানে, হয়তো আমাকেও গ্রেফতার করা হতে পারে। এই সবকিছু করা হচ্ছে গুজরাত নির্বাচনকে মাথায় রেখে।' কেজরিওয়াল দাবি করেন, দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে মণীশ সিসোদিয়া রীতিমতো নজির তৈরি করেছেন। সেই কারণে তাঁকে দেশের শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন- ফের দিল্লিতে কৃষক বিক্ষোভ, কেন বিক্ষোভরত কৃষকরা দিল্লিতে ফিরলেন?
বর্তমানে দুই দিনের সফরে গুজরাতে রয়েছেন আম আদমি পার্টির আহ্বায়ক। ২০২১-২২ সালের দিল্লি আবগারি নীতির জন্য সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। দিল্লি সরকার অবশ্য ইতিমধ্যেই আবগারি নীতি বাতিল করেছে। তারপরও তাঁকে তদন্তের হাত থেকে রেহাই দিচ্ছে না সিবিআই। এই প্রসঙ্গে কেজরিওয়াল বলেন, 'কেজরিওয়াল সরকারি স্কুলগুলোর সংস্কার করেছেন। এতটাই ভালো কাজ করেছেন, যা গত ৭০ বছরে অন্য কোনও দল করতে পারেনি। এই ধরনের লোকের তো ভারতরত্ন পাওয়া উচিত। গোটা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ভার তাঁর হাতে তুলে দেওয়া উচিত। কিন্তু, তার বদলে তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত হচ্ছে।'
চলতি বছরের শেষেই গুজরাত বিধানসভা নির্বাচন। এই প্রসঙ্গে কেজরিওয়াল বলেন, 'গুজরাতের লোকজন ব্যথিত। বিজেপি এখানে গত ২৭ বছর ধরে দাম্ভিকের মত শাসন করছে।' ইতিমধ্যেই নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রথম পাতায় দিল্লি সরকারের শিক্ষাব্যবস্থার প্রশংসা করা হয়েছে। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কেজরিয়াল বলেন, 'নিউ ইয়র্ক টাইমস পর্যন্ত দিল্লির সরকারের শিক্ষা মডেলের প্রশংসা করেছে। আমরা গুজরাতের পড়ুয়াদেরকেও উচ্চমানের শিক্ষা পাওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করব। আমরা স্বাস্থ্যক্ষেত্রকে সহজলভ্য করব। সামান্য অর্থ খরচ করেই যাতে উন্নতমানের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সুযোগ পাওয়া যায়, সেই ব্যবস্থা করব।'
Read full story in English