টানা ৯ ঘণ্টা রবিবার ছুটির দিনে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে আবগারি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। রাত ৯টা-র কিছু পরেই সিবিআই দফতর ছাড়েন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। বাইরে উপস্থিত সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করতেই একইসঙ্গে বিজেপি আর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তুলোধনা করেন কেজরি। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি অভিযোগ করেন, আবগারি নীতি মামলায় দুর্নীতির অভিযোগ পুরোটাই ভুয়ো। গোটাটাই একটা নোংরা রাজনীতির জের।
কেজরিওয়াল সিবিআই দফতরে যাওয়ার পরেই দিল্লিজুড়ে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়। রাজঘাটে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন এবং কার্যালয়ের বাইরে বাড়িয়ে দেওয়া হয় নিরাপত্তা। কেজরিওয়াল আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি সিবিআই দফতরে যাবেন। তিনি সিবিআই দফতরে যেতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে দেন আম আদমি পার্টির নেতা ও কর্মীরা।
বিক্ষোভ চলাকালীন আটক করা হয় রাঘব চাড্ডা, সঞ্জয় সিং, জেসমিন শাহ-সহ অন্যান্য আপ নেতাদের। আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ রাঘব চাড্ডা বলেন, 'আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলাম। দিল্লি পুলিশ তারপরও আমাদের গ্রেফতার করেছে। আমাদের অজানা জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে। এটা কোন ধরনের স্বৈরতন্ত্র!'
তার আগে আপ নেতারা সিবিআই কার্যালয় ঘেরাও করার চেষ্টা করেন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও। কিন্তু, দিল্লি পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হবে বলে দেশজুড়ে জল্পনা তৈরি হয়। বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতারা ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। রাতে বেরনোর পর সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, আবগারি দুর্নীতি মামলার সাক্ষী হিসেবেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁকে গ্রেফতার করার কোনও ইচ্ছাই সিবিআই আধিকারিকদের ছিল না। আপাতত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের আর প্রয়োজন নেই বলেই সিবিআই সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন- আবগারি নীতি মামলায় কেন কেজরিওয়ালকে তলব করল সিবিআই?
সিবিআই দফতর থেকে বাড়ির পথে রওনা হওয়ার আগে কেজরিওয়াল সাংবাদিকদের বলেন, 'সাড়ে ৯ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আমি ওদের সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। ওরা আপকে খতম করে দিতে চায়। এজন্যই আবগারি দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ করছে। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয় রাজনীতি। কিন্তু এভাবে আপকে খতম করা যাবে না। দেশবাসী আপের পাশে আছেন।'