/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/12/mamata-pk-759-news.jpg)
মমতা ও প্রশান্ত কিশোর। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর আবারও এক বিজেপি বিরোধী দলের প্রচার কৌশলের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিলেন প্রশান্ত কিশোর। দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল পিকের আই-প্যাক। শনিবার টুইটারে এ খবর জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে একথা জানিয়েছে পিকের সংস্থা আই-প্যাকও।
এ প্রসঙ্গে টুইটারে কেজরি লিখেছেন, ‘‘আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি আই-প্যাক এবার আমাদের সঙ্গেও যুক্ত হল। স্বাগত জানাচ্ছি’’। কেজরির দলের সঙ্গে হাত মেলানোর খবর টুইটারে জানিয়েছে পিকের সংস্থা আই-প্যাকও। টুইটারে তাঁরা লিখেছেন, ‘‘পাঞ্জাবের ফলের পর বুঝেছিলাম যে আপনারা কতটা কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। আপনাদের সঙ্গে যোগ দিতে পেরে খুশি’’।
Happy to share that @indianpac is coming on-board with us. Welcome aboard!
— Arvind Kejriwal (@ArvindKejriwal) December 14, 2019
আরও পড়ুন: পিকের পরিবর্তন? নীতীশকে ছেড়ে কি এবার মমতার সঙ্গেই ভোটগুরু?
After Punjab results, we acknowledged you as the toughest opponent that we have ever faced. Happy to join forces now with @ArvindKejriwal and @AamAadmiParty. https://t.co/5Rcz4ie6Xs
— I-PAC (@IndianPAC) December 14, 2019
উল্লেখ্য, উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ঘুরে দাঁড়াতে নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের শরণাপন্ন হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পিকের কৌশলেই সদ্য সমাপ্ত বাংলার তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচনে একাই ছক্কা হাঁকিয়েছে মমতা বাহিনী, এমনটাই ব্যাখ্যা রাজনৈতিক মহলের একাংশের। এদিকে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ঘিরে নিজের দল জেডিইউ-এর অবস্থানের বিরুদ্ধে গিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রায় রোজই গর্জে উঠছেন প্রশান্ত কিশোর। এই প্রেক্ষিতে মমতা বাহিনীর পর যেভাবে আরও এক বিজেপি বিরোধী নেতা কেজরির সঙ্গে হাত মেলালেন পিকে, তা রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, শোনা যাচ্ছে, তামিলনাড়ুতে ডিএমকে-র সঙ্গেও গাঁটছড়া বাঁধতে পারেন এই ভোটকুশলী।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে মোদী বাহিনীর প্রচার কৌশলের দায়িত্ব নিপুণ হাতে সামলেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। ২০১২ সালে গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের পর ২০১৪-এর লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় বার বিজেপির ভোটপ্রচারের দায়িত্ব হাতে তুলে নিয়েছিলেন পিকে। এরপর ২০১৫ সালে জেডিইউ-এর প্রচার কৌশলের ভার নেন পিকে।
Read the full story in English