Arvind Kejriwal: 'কেজরিওয়াল নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী, কোনও সন্ত্রাসবাদী নয়…', দিল্লি হাইকোর্টে সিবিআই গ্রেফতারি নিয়ে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক মনু সিংভি। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট ইডি গ্রেফতারি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে স্বস্তি দিয়েছে। কিন্তু তিনি এখনও জেল বন্দী। কারণ সিবিআই তাঁকে হেফাজতে রেখেছে।
বুধবার হাইকোর্টে মদ নীতি কেলেঙ্কারিতে সিবিআই মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিনের আবেদনের শুনানি হয়। কেজরিওয়ালের পক্ষে উপস্থিত হয়ে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি দিল্লি হাইকোর্টে সিবিআই গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, গত দুই বছরে সিবিআই কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেনি। কিন্তু যখনই তিনি ইডি মামলায় স্বস্তি পেতে চলেছেন, তখনই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আদালতে দাঁড়িয়ে বলেন, কেজরিওয়াল একজন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী, তিনি সন্ত্রাসবাদী নন।
কেজরিওয়ালের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি হাইকোর্টকে জানিয়েছেন যে তিনি আদালতের সামনে তিনটি আদেশ নিয়ে এসেছেন, যার মধ্যে রয়েছে নিম্ন আদালতের দ্বারা কেজরিওয়ালকে দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন জামিন, নির্বাচনী প্রচারের জন্য সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন জামিন এবং সাম্প্রতিক ইডি মামলা অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আদেশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
'জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট'
সিংভি বলেন, কেজরিওয়াল যখন জামিন পেতে চলেছেন, তখন তাঁকে সিবিআই তাকে গ্রেফতার করে। অথচ সিবিআই তাকে ২ বছর ধরে গ্রেফতার করেনি। তাঁর বয়ান রেকর্ড করার পরেও সিবিআই কেজরিকে গ্রেফতারের প্রয়োজন মনে করেনি। ইডি-র দায়ের করা মামলায় ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়েছে। SC জামিন মঞ্জুর করেছে, যার অর্থ SC সন্তুষ্ট ছিল যে জামিনে থাকাকালীন, কেজরিওয়াল প্রমাণে হস্তক্ষেপ করবেন না বা সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করবেন না।
আরও পড়ুন- < Kashmir Terror Attack: ভূস্বর্গে ফের গুলির লড়াই, জঙ্গি নিকেশে মরিয়া ভারতীয় সেনা >
সিংভি বলেন, এই মামলায় সিবিআইয়ের এফআইআর দু বছরের পুরনো। 2022 সালে FIR দায়ের করা হয়েছিল। কেজরিওয়াল এতে অভিযুক্ত ছিলেন না। 2023 সালের এপ্রিলে সাক্ষী হিসাবে বিবৃতি দেওয়ার জন্য তাঁকে তলব করা হয়। কেজরিওয়াল জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হন। এই সময়ের ইমরান খানের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি।
'গ্রেফতার মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন'
সিংভি বলেন, এই মামলায় কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি সংবিধানের অনুচ্ছেদ 14, 21, 22-এর অধীনে প্রদত্ত মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন। সিবিআই তার প্রথম জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ট্রায়াল কোর্টে আবেদন করেছিল, কিন্তু ট্রায়াল কোর্ট কেজরিওয়ালকে নোটিশ জারি করা প্রয়োজন মনে করেনি। সিবিআই গ্রেফতারের জন্য ট্রায়াল কোর্টে যে কারণ দেখিয়েছে তা হল তিনি তাদের প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দিচ্ছেন না। তদন্তকারী সংস্থাকে কাঙ্খিত জবাব না দেওয়ায় গ্রেফতার করা যায় কি? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সম্প্রতি বিচারপতি সঞ্জীব খান্না তার আদেশে বলেছেন, নিছক জিজ্ঞাসাবাদ গ্রেফতারের ভিত্তি হতে পারে না। একথাও আদালতে এদিন উল্লেখ করেন কেজরির আইনজীবী।