ছয়টি রাজ্যের মধ্যে দিয়ে যাবে দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে। তার মধ্যে রয়েছে ১৪৫টি লোকসভা আসন। প্রধানমন্ত্রীর চেষ্টা যে রাজ্যগুলি নতুন এই এক্সপ্রেসওয়ে থেকে লাভবান হবে সেখানে এক্সপ্রেসওয়েকে সামনে রেখেই লোকসভা ভোটে ফায়দা তোলা।
১৩৮৬ কিলোমিটার দীর্ঘ দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) এই এক্সপ্রেস (দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন) আজ ১২ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ রবিবার উদ্বোধন করবেন। এর ফলে দিল্লি থেকে মুম্বইয়ের দূরত্ব ২৪ ঘণ্টা থেকে কমে ১২ ঘণ্টা হবে। এই এক্সপ্রেসওয়ে ধরে দিল্লি-মুম্বইয়ের যাত্রীদের যাতায়াত সহজ হবে। একই সময়ে, এই এক্সপ্রেসওয়েটি ২০২৪ সালে বিজেপির রাজনৈতিক যাত্রাকে আরও মসৃণ করে তুলতে আরও এককদম এগিয়ে দেবে এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। প্রকৃতপক্ষে, এই এক্সপ্রেসওয়েটি দেশের ৬ টি রাজ্যের মধ্য দিয়ে যাবে, যার কারণে এই সমস্ত রাজ্যের বাণিজ্য এবং যাতায়াত আরও মসৃণ হবে। যার থেকে আখেরে লাভ হবে বিজেপির’ই।
কোন রাজ্যে কতটি আসন আছে
যে ৬টি রাজ্যের মধ্য দিয়ে দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেস যাবে, সেই রাজ্যগুলিতে মোট ১৪৫টি লোকসভা আসন রয়েছে। এর মধ্যে দিল্লিতে ৭টি, হরিয়ানায় ১০টি, রাজস্থানে ২৫টি, মধ্যপ্রদেশে ২৯টি, গুজরাটে ২৬টি, মহারাষ্ট্রে ৪৮টি লোকসভা আসন রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, এই এক্সপ্রেসওয়ে থেকে সরাসরি লাভবান হওয়া রাজ্যগুলিতে নির্বাচনী প্রচারে এক্সপ্রেসওয়েকে হাতিয়ার করে ঝড় তুলবে বিজেপি। ফলে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এই রাজ্যগুলিতে বড় ফায়দা তুলতে পারবে।
দিল্লি থেকে মুম্বইয়ের দূরত্ব ১২ ঘন্টা কমে যাবে
দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ের দূরত্ব ১৩৮৬ কিলোমিটার। এটি দেশের দীর্ঘতম এক্সপ্রেসওয়ে। দেশের রাজধানী দিল্লিকে দেশের আর্থিক নগরী মুম্বাইয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করবে এই এক্সপ্রেসওয়ে। এই এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির পর দিল্লি থেকে মুম্বইয়ের দূরত্ব ২৪ ঘণ্টা থেকে কমে হবে মাত্র ১২ ঘণ্টা।প্রায় এক লাখ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই এক্সপ্রেসওয়েটি ছয়টি রাজ্য দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্রের মধ্য দিয়ে যাবে। এক্সপ্রেসওয়েটি শুধুমাত্র ৬টি রাজ্যের মধ্যে যাতায়াতকে খুব সহজ করে তুলবে না, এটি দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তুলতেও সাহায্য করবে।
কী কী সুবিধা
এক্সপ্রেসওয়েটি জার্মান প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে। এই এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন চলাচলা করতে পারবে দেড়শো কিলোমিটারের বেশি গতিতে। তবে বর্তমানে গতিসীমা প্রতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি এই এক্সপ্রেসওয়েকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। দিল্লি থেকে মুম্বই পর্যন্ত হাইওয়েতে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। সম্ভাব্য দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ট্রমা সেন্টারও স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে চার্জিং পয়েন্টও তৈরি করা হয়েছে, যেখানে বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করা যাবে। এই চার্জিং স্টেশনগুলি ২৪ ঘন্টা চালু থাকবে। একই থাকবে পেট্রোল পাম্পও। এটিএমও বসানো হবে এই এক্সপ্রেসওয়েতে।