পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পর কংগ্রেসের অন্দরেই গান্ধী পরিবার-বিরুদ্ধ স্বর চড়া হচ্ছে। দলের বর্ষীয়ান নেতা কপিল সিবাল গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় বেজায় চটেছেন লোকসভায় কংগ্রেসের চিফ হুইপ মানিকম ঠাকুর। সিব্বলকে তাঁর প্রশ্ন, ''কেন আরএসএস, বিজেপির ভাষায় কথা বলছেন।'
কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বহু নেতাই চাইছেন সোনিয়া নন, দলের রাশ পুরোপুরিভাবে হাতে নিন রাহুল গান্ধী। গত রবিবার কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে খোদ সোনিয়া গান্ধীর কাছে এব্যাপারে আবেদন করেছেন অনেক নেতা। দীর্ঘদিন ধরেই কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ। তিনি আর আগের মত সব কাজ সামলে উঠতে পারছেন না। তাই সবদিক কথা মাথায় রেখে ভবিষ্যতের নেতা রাহুল গান্ধীর হাতেই অবিলম্বে দলের রাশ তুলে দেওয়ার পক্ষপাতী কংগ্রেস নেতাদের একাংশ।
যদিও এখনও কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন শীর্ষস্তরের নেতা রাহুল গান্ধীর উপরেই আস্থা রাখতে পারছেন না। সিবাল চাইছেন, গান্ধী পরিবারের বদলে কংগ্রেসের দায়িত্ব নিক অন্য কোনও নেতা। বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতার মন্তব্যে ক্ষুব্ধ রাহুল ঘনিষ্ঠ দলের লোকসভার হুইপ মানিকম ঠাকুর। সিবালকে বিঁধে তিনি বলেন, ''কংগ্রেসকে শেষ করতে গান্ধীদের নেতৃত্ব থেকে দূরে রাখতেই চায় আরএসএস এবং বিজেপি। কপিল সিবাল তা জানেন। কেন তিনি আরএসএস, বিজেপির ভাষায় কথা বলছেন।''
আরও পড়ুন- বঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সংসদে বাংলায় সরব অধীর, সমর্থন সনিয়ার, ‘রাজনীতি’র অভিযোগ তৃণমূলের
টুইটে কংগ্রেস নেতা মানিকম ঠাকুর আরও লিখেছেন, ''কেন আরএসএস এবং বিজেপি নেহেরু-গান্ধীদের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিতে চায়? কারণ গান্ধীর নেতৃত্ব ছাড়া কংগ্রেস জনতা পার্টিতে পরিণত হবে। কংগ্রেসকে হত্যা করা সহজ তারপর ভারতের ধারণাকেও ধ্বংস করা সহজ হবে।''
উল্লেখ্য, পাঁচ রাজ্যের বিভানসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পরে সিবাল দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া একটি সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন, ''গান্ধীদের উচিত সরে যাওয়া। অন্য কোনও নেতাকে দলের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। নেতৃত্ব কি কোকিলের দেশে? আমি সব কি কংগ্রেস চাই। কেউ কেউ ঘর কি কংগ্রেস চায়।''
Read story in English