হামাস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইজরায়েলি সেনাবাহিনী বেছে বেছে হামাস জঙ্গি ও তাদের আস্তানাকে লক্ষ্যবস্তু করছে। এদিকে এই যুদ্ধ পৃথিবীকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। এক দল ইজরায়েলের সমর্থনে সুর চড়িয়েছেন, যদিও সেই সংখ্যা অনেক বেশি। অন্য দল প্যালেস্তাইন কে সমর্থন করছে। এদিকে ভারতেও নেতাদের মধ্যে ইসরায়েল ও প্যালেস্তাইন নিয়ে ভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গতকালই এবিষয়ে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার মোদীকে নিশানা করেন। এবার প্যালেস্তাইনের সমর্থনে সুর চড়ালেন এআইএমআইএম প্রধান ও সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।
ইজরায়েলকে আক্রমণ করে আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেন- “গাজায় গণহত্যা চলছে, নিষ্ঠুর শাসকগোষ্ঠী বোমা বর্ষণ করছে। ইজরায়েল সরকার গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। এই হামলায় ১০ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছেন”। এই বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছেও আবেদন জানিয়ে বলেছেন, এই কঠিন পরিস্থিতিতে 'গাজার জনগণের পাশে দাঁড়ান’।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলার পর গাজায় এখন পর্যন্ত ২২০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ইজরাইল হামাসকে হুমকি দিয়ে বলেছে, বন্দিদের মুক্তি না দিলে গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ, জল ও খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করা হবে না। এমন পরিস্থিতিতে গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইজরায়েল। এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে গাজার জনগণকে সাহায্যের আবেদন করেছেন।
হায়দরাবাদে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে আসাদুদ্দিন ওয়াইসি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে এক হাত নিয়ে তিনি বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে এই কঠিন পরিস্থিতিতে গাজার জনগণের পাশে থাকার জন্য তাদের সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছি”। তিনি আরও বলেন, “ভারতের উচিত গাজার জনগণকে সাহায্য করা।
জানা গিয়েছে, যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২২১৫ প্যালেস্তাইনি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন, আহতের সংখ্যা ৮,৭১৪। তারা সবাই গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৭০০ শিশুও রয়েছে। একই সঙ্গে যুদ্ধে ইজরায়েলে নিহতের সংখ্যা ১৩০০, আহত হয়েছেন ৩৪০০ জন। প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে গাজা উপত্যকায় একটি সেফ করিডোর খোলার অনুমতির আবেদন করেছেন বলেছেন, যাতে মানুষের কাছে খাদ্য ও জ্বালানি পৌঁছে দেওয়া যায়।