এআইএমআইএম প্রধান এবং হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়াইসি রাম মন্দির ইস্যুতে বিজেপিকে নিশানা করার পাশাপাশি বিরোধী দলগুলিকেও বাবরি মসজিদ ধ্বংস নিয়ে একহাত নিয়েছেন। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে একটি সাক্ষাত্কারে, ওয়াইসি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন ৬ ডিসেম্বর, ১৯৯২ সালের ঘটনার জন্য বিরোধীরাও সমানভাবে দায়ী। যখন বাবরি মসজিদ ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'পরিকল্পিতভাবে ভারতীয় মুসলমানদের কাছ থেকে বাবরি মসজিদ ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে'।
লোকসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন বিজেপি-আরএসএসকে কী এক্সট্রা মাইলেজ দেবে? এই প্রশ্নের উত্তরে ওয়াইসি বলেন, 'মসজিদটি ভেঙে ফেলা মন্দিরের উপর নির্মিত হয়েছিল এমন কোন প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ নেই। এই পুরো বাবরি মসজিদ-রাম মন্দির আন্দোলনটি মূলত মিথ্যার উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা হয়েছে। কারণ সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে কোনও মন্দির ভাঙা হয়নি। বরং আদবানির রথযাত্রা এবং অন্যান্য সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার মাধ্যমে মুসলমানরা প্রচুর পরিমাণে হিংসার শিকার হয়েছিল। রাম মন্দির উদ্বোধন হল নরেন্দ্র মোদীর হিন্দু ভোটারদের উপর তার দখল আরও শক্ত করার উপায়মাত্র। এও মনে রাখতে হবে যে মোদী এর আগে মন্দির নির্মাণকে ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের সমতুল্য করেছিলেন। এটি মূলত বোঝায় যে ভারতীয় মুসলমানরা ভারতীয় নয়'।
বিরোধীদের অধিকাংশই রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠান থেকে নিজেদের দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কংগ্রেস বলেছে এটি বিজেপির রাজনৈতিক অনুষ্ঠান। এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে ওয়াইসি বলেন, 'এই সমস্ত তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলো বলছে যে মোদী না থাকলে তারা রাম মন্দির উদ্বোধনে যেত। আমার প্রশ্ন হল, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর যা ঘটেছিল, তাতে তাদের অবস্থান কী? ১৯৮৬ সালে যদি মুসলিম পক্ষের কথা শোনা হত, তাহলে আজকের অবস্থা কী হত? মসজিদ ভাঙ্গা না হলে আজ কি হত?'
প্রতিটি বিরোধী দলকে মসজিদ ভাঙার দায়ভার নিতে হবে বলে উল্লেখ করে ওয়াইসি বলেন, 'উদ্ধব ঠাকরে প্রকাশ্যে দাবি করেছেন যে তাঁর দলের ক্যাডাররা বাবরি মসজিদ ভেঙে দিয়েছে, এতে তারা গর্ববোধ করে'। ২২ শে জানুয়ারি বিভিন্ন রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই রাজ্যে সরকারী ছুটি ঘোষণা করেছেন এই প্রসঙ্গে ওয়াইসি বলেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যে নবী দিবসের ছুটি বাতিল হয়েছে। এখন বিজেপি শাসিত প্রতিটি রাজ্যই রাম মন্দিরের জন্য ছুটি ঘোষণা করছে। সকলেই সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের ভোটকে টার্গেট করতে ব্যস্ত থাকায় এ বিষয়ে কেউ কিছু বলছেন না।