Advertisment

রাজ্যের সিদ্ধান্তেই মেলেনি কেন্দ্রের স্মার্ট সিটির অর্থ, চিঠিতে ফিরহাদকে অভিযোগ আসানসোলের পুর প্রশাসকের

এবার জিতেন্দ্র তিওয়ারির চিঠি ঘিরে অস্বস্তি বাড়ল তৃণমূলের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

রাজ্য সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দ থেকে আসানসোলবাসী বঞ্চিত। এবার জিতেন্দ্র তিওয়ারির চিঠি ঘিরে অস্বস্তি বাড়ল তৃণমূলের।

Advertisment

কেন্দ্রের স্মার্ট সিটি প্রকল্পের টাকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত আসানসোল পুরনিগম। এ জন্য রাজ্যের সিদ্ধান্তকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন আসানসোলের পুর প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এমনকী সেই টাকা রাজ্য দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও তা এখনও পূরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর। চিঠি লিখে সেই অভিযোগের কথা নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে জানিয়েছেন আসানসোলের পুর প্রশাসক। শুধু তাই নয়, রাজ্যের কাছ থেকে ওই টাকার দাবি জানিয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি।

ফিরহাদ হাকিমকে লেখা চিঠিতে আসানসোলের পুর প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানিয়েছেন, আসানসোল কেন্দ্রীয় সরকারের স্মার্ট সিটি প্রকল্পের জন্য নির্বাচিত হয়েছিল। সেই দু'হাজার কোটি অর্থে বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সেই অর্থ পাওয়ায় রাজ্যের অনুমোদন ছিল না। পরিবর্তে আসানসোল পুরনিগমকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নগরোন্নয়ন দফতর। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতিও পালন করা হয়নি।

publive-image মন্ত্রীকে লেখা জিতেন্দ্র তিওয়ারির চিঠি

এই চিঠি ঘিরেই শাসক দলের অন্দরে শোরগোল পড়েছে। যদিও এ প্রসঙ্গে আসানসোলের পুরপ্রশাসন জিতেন্দ্র তিওয়ারি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেছেন, 'মন্ত্রীকে সুবিধা-অসুবিধার কথা বলি। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। কিন্তু, এই চিঠি কীভাবে প্রকাশ্যে এল তা জানি না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত কোনও কথা বলব না

নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আসানসোলের পুর প্রশাসকের এই চিঠি দেওয়ার ঘটনায় অসন্তুষ্ট। তিনি বলেছেন, 'আজ কেন সব জেনেও ও (জিতেন্দ্র তিওয়ারি) চিঠি দিল জানি না। আমার সহ্গে ওর সম্পর্ক ভাল। ও একজন বিধায়কও। সরকারের অবস্থান ওর জানা আছে। তবুও এই চিঠি দেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত খারাপ।'

তার মধ্যেই এদিন রানিগঞ্জ মহিলা কলেজের গভর্নিং বড়ির সভাপতির পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন বিদায়ী মেয়র। ফলে জিতেন্দ্র তিওয়ারির রাজনৈতিক অবস্থান ঘিরে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে। জোড়া-ফুল ছেড়ে তিনি কী তাহলে বিজেপি মুখী? এ প্রশ্নের জবাবে ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, 'মমতাদি বলে দিয়েছেন যাঁর যাওয়ার চলে যান। তবে আমি বিশ্বাস করি জিতেন্দ্র যাবেন না। বিজেপির বিভ্রান্তিকর প্রচারেই ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আলোচনাতেই সমস্যা মিটে যাবে।'

এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'ভূতের মুখে রাম নাম। ভোট এসে গিয়েছে। মানুষের মুখোমুখি হতে হবে। ফলে পিঠ বাঁচাতেই এইসব করা হচ্ছে।'

আসানসোলের পুর প্রশাসকের চিঠি তুলে ধরে টুইটে রাজ্য সরকার ও তৃণমূলের উদ্দেশে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা অমিত মালব্যও।


শুভেন্দু অধিকারী থেকে থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়- এমনীতেই বেসুর জোড়া-ফুলের একাধিক বিধায়ক। ভোটের আগে যা কাঁটার মত বিঁধছে তৃণমূলের। অন্যদিকে মমতা সরকার উন্নয়ন নিয়ে রাজনীতি করে বলে বারংবার অভিযোগ করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দল পরিচালিত পুরনিগম, পুরসভা বা পঞ্চায়েতগুলো। এবার সেই রাজনীতির কথাই উঠে এল শাসক দলের পুর প্রশাসকের তরফে। যা তৃণমূলের অস্বস্তি কয়েকগুণ বাড়ল।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tmc asansol
Advertisment