আসন্ন পুরযুদ্ধে লড়াইয়ের পুরভাগে থাকবেন, কিন্তু প্রার্থী হবেন না। ফেসবুক পোস্টে সাফ জানিয়েদিলেন শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র তথা সিপিআইএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য। ভোটে কেমন হবে তাঁর ভূমিকা? অশোকবাবুর কথায়, 'ননপ্লেয়িং' হিসাবেই এবার নির্বচানী ময়দানে থাকবেন তিনি।
Advertisment
তিনি আর নির্বাচনের ময়দানে লড়াই করবেন না। একুশের বিধানসভা ভোটের পরই তা জানিয়েছিলেন বাম আমলে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। সেকথা দলকেও জানিয়েছেন বলে দাবি করেছেন অশোকবাবু। এরপর এ দিন ফের পুর ভোটের লড়াইয়ে প্রার্থী হতে আগ্রহী নন বলে প্রকাশ্যে দাবি করেছেন তিনি।
শিলিগুড়ি একদা বাম দুর্গ বলে পরিচিত। তবে, বর্তমানে সেই দুর্গে বড় ফাটল ধরেছে। গত বিধানসভা ভোটে শিলিগুড়ি থেকে এক সময়ের রাজনৈতিক শিষ্য বিজেপি প্রার্থী শংকর ঘোষের কাছে ভোটে পরাজিত হয়েছেন প্রতাপশালী বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্য। শিলিগুড়ি পুর এলাকাতেও বামেদের সংগঠন বেহাল। সিপিএম সূত্রে খবর, এই পরিস্থিতিতে অভিজ্ঞ নেতা অশোকবাবুকে সামনে রেখেই পুরযুদ্ধে নামতে আগ্রহী ছিল বাম শিবির। কিন্তু, তিনি প্রার্থী হতে নারাজ হওয়ায় অস্বস্তি বাড়ল কাস্তে-হাতুড়ির।
পোড় খাওয়া নেতা কেন দলের দুঃসময়ে প্রার্থী হতে আগ্রহী নন? জবাবে অশোকবাবু বলেছেন, 'এটা হঠাৎ নয়, আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আর প্রার্থী হবো না। সেটাই ফের বললাম। দলের সিদ্ধান্ত সত্তোরের বেশি বয়স হলে জেলা বা রাজ্য কমিটিতে কোনও কমরেড থাকবেন না। আমার বয়স হয়েছে। জেলা বা রাজ্য কমিটিতে আমি নেই। এবার তাই নতুন কমরেডরা দায়িত্ব নিক। এতে আখেরে দলেই লাভ।'
দলের সিদ্ধান্তে কী শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেন? রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর জবাব, 'আমার ইচ্ছে নেই। দল আমাকে আগেই দায়িত্ব নিতে বলেছে। তবে, আমিই আর লড়তে আগ্রহী নই।'
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অশোক ভট্টাচার্য লড়াইয়ের ময়দানে থাকলে দুই ফুল শিবিরকেই খানিকটা চ্যালেঞ্জ জানাতে পারতো বামেরা। কিন্তু, তাঁর অনুপস্থিতিতে শিলিগুড়িতে কার্যত মেরুকৃত ভোটের সম্ভাবনাই বেশি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখনটেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন