শেষমেষ শিলিগুড়ি পুরসভার বিদায়ী মেয়র অশোক ভট্টাচার্যর দাবি মেনে নিল রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর। পুরনো বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে পুনরায় নির্দেশে জানিয়ে দিল শিলিগুড়ির বিদায়ী পুর বোর্ড নতুন প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য থাকবেন। তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচজন কাউন্সিলরকে এই প্রশাসনিক বোর্ডে রাখা হয়নি। নতুন প্রশাসনিক বোর্ডে রয়েছেন মেয়র, ডেপুটি মেয়র ও ৫ জন মেয়র পারিষদ। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের এই নতুন নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন বিদায়ী মেয়র অশোক ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন- ‘৯০ ডিগ্রি ঘুরে গেল মমতা সরকার, শুভেন্দুর ঘোষণা দুর্ভাগ্যজনক’
অশোকবাবুর দাবি, জনমতের কাছে নতি স্বীকার করতে হয়েছে। কলকাতা সহ রাজ্যের অন্যত্র বিদায়ী বোর্ডকে দায়িত্ব দিচ্ছে অর্থাৎ নতুন যে প্রশাসনিক বোর্ড গঠন হচ্ছে সেখানে পুরসভা গুলো তারাই চালাবে। করোনা পরিস্থতি মোকাবিলায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। অথচ শিলিগুড়ির ক্ষেত্রে মনোনীত প্রশাসনিক বোর্ডে সিপিএমের সাতজন কাউন্সিলর ও পাঁচজন তৃণমূল কাউন্সিলরকে রাখা হয়েছিল। তা নিয়েই তীব্র মতবিরোধ দেখা যায়। অশোক ভট্টাচার্য স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই প্রশাসনিক বোর্ড বাতিল করতে হবে। সিপিএমের পাঁচ কাউন্সিলরকে কোনোভাবেই বোর্ডে রাখা যাবে না। তাহলে তাঁরা এই বোর্ডে থাকবেন না। প্রশাসনিক বোর্ড বাতিল করতে হবে। শেষমেষ শনিবার আগের নির্দেশ প্রত্যাহার করে তৃণমূল কংগ্রেসের ৫ কাউন্সিলরককে বাদ রেখেই নতুন প্রশাসনিক বোর্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- মাস্ক দিয়ে যায় চেনা, রাজনীতির নয়া দেওয়াল লিখন
রাজ্যের মন্ত্রী গৌতম দেব এই নতুন বোর্ডকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তবে জনমতের চাপে যে সরে আসতে হয়েছে তা ঠিক নয়। কোভিড ১৯ মোকাবিলার জন্য অশোক ভট্টাচার্যকে চেয়ারম্যান করে বোর্ড করা হয়েছিল। সেখানে তৃণমূলের ৫ জন কাউন্সিলর ছিলেন। ওরা তা মানতে চায়নি। পুরমন্ত্রীর সঙ্গে এবিষয়ে আমাদের কথা হয়। ৫ জন কাউন্সিলরকে সরে যেতে হয়। আমরা রাজনীতি চাই না। ওঁদের আমরা সমর্থন করব। কিন্তু আমরা ৫৪ দিনই রাস্তায় ছিলাম সিপিএমের দু-একজন মেয়র পরিষদ ছাড়া সেভাবে কাউকে রাস্তায় দেখা যায়নি। আমরা মনে করি কোভিড মোকাবিলায় তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন