উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক বৈঠক হাজির থাকলেন না শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য। তিনি শিলিগুড়ির সমস্যা নিয়ে পৃথক ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়েছিলেন। কোভিড পরিস্থিতিতে তা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেয় মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। এদিকে শিলিগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা তৃণমূলের দার্জিলিং জলা সভাপতি রঞ্জন সরকারের দাবি, "উন্নয়ন নিয়ে কোনও কথা বলতে পারবেন না বলে উনি সভায় থাকছেন না।" অশোক ভট্টাচার্য তৃণমূলের অভিযোগের জবাব দিতে নারাজ। অশোকবাবুর প্রশ্ন, "পাঁচ বছরে বিদায়বেলায় আমাদের মনে পড়েছে? আমি কি ওনার চাকরি করি?"
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার উত্তরবঙ্গ সফরে কোভিড পরিস্থিতির জন্য শিলিগুড়ির উত্তরকন্যাতে জেলার কর্তাদের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক করছেন। প্রথম দিন আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ির কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বুধবার বাকি জেলাগুলির মধ্যে দার্জিলিং জেলার প্রশাসনের কর্তারাও বৈঠকে হাজির আছেন। বৈঠকে ডাক পেয়েছিলেন শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসাক মন্ডলীর চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য। তিনি শিলিগুড়ির বিধায়কও। দীর্ঘ পাচ বছর শিলিগুড়ি পুরসভার ক্ষমতায় ছিল সিপিএম। তিনি ছিলেন মেয়র। তাঁর গড়হাজিরা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল।
অশোক ভট্টাচার্য তৃণমূল নতৃত্বের প্রশ্নে প্রসঙ্গে বলেন, "ওদের কথার কোনও জবাব দেব না।" কেন যাননি প্রশাসনিক বৈঠকে? অশোকবাবু বলেন, "আমি গত পাঁচ বছর ধরে মেয়র ছিলাম। কোনও প্রশাসনিক বৈঠকে আমাকে আমন্ত্রণ জানায়নি। তাঁর বিদায় বেলায় আমাদের মনে পড়ল। আগেই মনে পড়া উচিত ছিল। আমি দেখা করতে চেয়েছিলাম শিলিগুড়ির প্রতি যে বঞ্চনা করা হয়েছে তা তথ্য দিয়ে তুলে ধরার জন্য। কোভিড পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী দেখা করেননি।" প্রাক্তন মেয়রের প্রশ্ন, "আমি কি চাকরি করি নাকি?
তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য তাঁর বৈঠকে গড়হাজিরা নিয়ে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছে। দলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, "দীর্ঘ দিন ধরে উন্নয়ন নিয়ে অশোক ভট্টাচার্য রাজনীতি করছেন। এটা প্রমানিত। আগে মিটিংয়ে না ডাকার কথা পুরো মিথ্যা। বাস্তবে শিলিগুড়ির সমস্যা সমাধান করতে চান না। উন্নয়নের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হওয়ার সাহস নেই। বরং আজ উনি অনেক কিছু বলতে পারতেন।" তাঁর দাবি, "আসলে তিনি ধরা পড়ে যাবেন। পাঁচ বছরে নানা উন্নয়নের কাজ করতে পারেননি। নানা প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে তাই মিটিংয়ে যাননি।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন