প্রতিবছর, মহারাষ্ট্রে ১০ দিনের গণেশ উৎসব, রাজনৈতিক নেতাদের একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাতের মঞ্চ তৈরি করে। এমন মঞ্চ, যেখানে মতাদর্শগত পার্থক্য দূরে সরিয়ে রাখেন নেতারা। এবছর এমনই একটি সাক্ষাতের মঞ্চ তৈরি হল মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ ও প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অশোক চহ্বানের মধ্যে। তবে, তাঁদের সাক্ষাত আর বৈঠক এবার কিন্তু, মহারাষ্ট্রের রাজনীতিকে কিছুটা হলেও আলোড়িত করেছে।
চলতি সপ্তাহে ফড়ণবিশ এবং চহ্বান, দু'জনে বৃহস্পতিবার একই সময়ে বিজেপির কৌশলবিদ আশিস কুলকার্নির বাসভবনে পৌঁছন। তবে, দুই নেতারই বক্তব্য, গণেশ উৎসব। তাই তাঁরা সৌজন্য সাক্ষাত করতে গিয়েছিলেন। নেতারা মুখে যাই বলুন। ফড়ণবিশ, কুলকার্নি আর অশোক চহ্বানের এই বৈঠক কিন্তু, মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে দলত্যাগ এবং ক্ষমতার খেলার নতুন গুজবকে উসকে দিয়েছে।
বিজেপি নেতাদের একটি অংশ আশাবাদী। তাঁরা শুধু সময় গুণছেন। মহারাষ্ট্র বিজেপির এক প্রবীণ নেতা তো বলেই বসলেন, 'গুলাম নবি আজাদের কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্তের পরে, যে কোনও কিছু ঘটতে পারে।' মহারাষ্ট্র-সহ গোটা দেশে আরও বহু কংগ্রেস নেতা ইতিমধ্যেই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। যা বিজেপি নেতাদের একাংশের মধ্যে নতুন উৎসাহের জন্ম দিয়েছে।
আরও পড়ুন- হুঁশ নেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনায়, রাজ্যকে ৩,৫০০ কোটি টাকা জরিমানা জাতীয় পরিবেশ আদালতের
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা তো বলেই বসলেন, 'অপেক্ষা করুন না। দেখুন কী হয়! কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। শুধু দেখে যান।' এই সব দলত্যাগ নিয়ে যা রটছে, সেগুলো কি ঠিক? এই প্রশ্নের জবাবে ওই নেতা এই সব কথা বলেছেন। আরেকজন প্রবীণ বিজেপি নেতা অবশ্য অনেক বেশি খোলামেলা। তিনি বললেন, 'বেশ কয়েকজন নেতা কংগ্রেসে তাঁদের রাজনৈতিক কেরিয়ার নিয়ে চিন্তিত, তাঁরা বিকল্প অন্বেষণ করছেন। আর, এই মুহূর্তে বিজেপির চেয়ে ভালো বিকল্প আর কী-ই বা হতে পারে! আগামী মাসেই অনেক কিছু ঘটবে।'
তাঁর পক্ষ থেকে, চহ্বান অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ, বিজেপির সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠতা, সবকিছুই 'ভিত্তিহীন' বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রে, গণেশ উত্সবের সময় একে অপরের বাড়িতে যাওয়া একটি সংস্কৃতি। রাজনীতির সাথে এর কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘদিন কংগ্রেসে ছিলেন, আছেন, থাকবেন। দলের 'ভারত জোড়' আন্দোলনেও অংশ নেবেন। যদিও চহ্বান এই সব কথা আর কতদিন বলবেন, সেই নিয়েই এখন প্রশ্ন রয়েছে মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের অন্দরেও।
Read full story in English