রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট বলেছেন যোধপুর লোকসভা আসন থেকে তাঁর ছেলের হারের দায় নেওয়া উচিত উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলটের।
২০১৪ সালের পুনরাবৃত্তি করে এ বারও রাজস্থান থেকে একটি লোকসভা আসনও জিততে পারেনি কংগ্রেস। বিজেপি ২৪টি আসনে জিতেছে এবং তাদের সহযোগী দল রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি জিতেছে একটি আসনে। একটি নিউজ চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গেহলোট বলেছেন শচীন পাইলট, যিনি সে রাজ্যের কংগ্রেসের সভাপতিও বয়ে, তাঁর উচিত যোধপুর আসনে হারের দায়িত্ব নেওয়া, কেননা পাইলট এর আগে ওই আসন থেকে অশোক গেহলোটের ছেলেকে জিতিয়ে আনার ব্যাপারে তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন।
আরও পড়ুন, মহাজোটে ভাঙন! একলা চলার ডাক অখিলেশ-মায়াবতীর
তিনি বলেন বৈভব গেহলোটের জয়ের ব্যাপারে যেহেতু শচীন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন, ফলে এই হারের দায়িত্বও নেওয়া উচিত তাঁর। শচীন পাইলট বলেছিলেন "যোধপুর আসনে আমরা বিশাল ব্যবধানে জিতব। আমাদের ওখানে ৬ জন বিধায়ক রয়েছে এবং আমাদের প্রচারও খুব শক্তিশালী ছিল। তাহলে আমরা হারলাম কেন! পার্টির এই হারের ময়না তদন্ত হওয়া উচিত।"
মুখ্যমন্ত্রী পুত্র বৈভব গেহলোট ওই আসনে বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের কাছে ২ লাখ ৭০ হাজার ভোটে হেরেছেন। গেহলোট বলেছেন, "রাজ্যে নির্বাচনী বিপর্যয়ের দায়িত্ব যৌথভাবে নেওয়া উচিত।" তাঁর সঙ্গে শচীন পাইলটের ঝামেলার কথা উড়িয়ে দিয়ে গেহলোট বলেছেন, "সংবাদমাধ্যমে ভুল বোঝানো হচ্ছে যে মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী এক সঙ্গে নেই"।
নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে পরে ওই সাক্ষাৎকারের ভিডিওটি টুইটারে প্রকাশ করেন তিনি এবং অভিযোগ করেন সংবাদমাধ্যমের একাংশ প্রেক্ষিতবিহীনভাবে অপ্রয়োজনীয় অংশ তুলে আনছে।
This was reply to some questions during interview…Some sections of the media are making unnecessary issue out of the context. pic.twitter.com/oLk9mQEwiN
— Ashok Gehlot (@ashokgehlot51) June 4, 2019
এই ভোটের আগে রাজস্থান কংগ্রেসের মধ্যে বৈভবের প্রার্থী হওয়া নিয়ে ঝড় বয়ে যায়। তখন শচীন পাইলট বলেছিলেন, "পূর্বতন রাজ্যসভার সাংসদ, বিধায়ক, অথবা যাঁরা ভোটে হেরেছেন বা কোনও রাজনীতিবিদের আত্মীয়- এঁদের বাদ দিয়ে প্রার্থী খোঁজাই ভাল। যাঁর জেতার সম্ভাবনা রয়েছে বা কর্মীরা যাঁকে পছন্দ করেন, তেমন কেউই আমাদের অগ্রাধিকারে থাকবেন।"
সেদিন সন্ধেতেই গেহলোটের দফতর থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "যদি আমি বৈভবকে সুযোগ দিতে চাইতাম, তাহলে ১০ বছর আগেই দিতাম। আমি ওকে সব সময়েই বলে এসেছি যে আমি মুখ্যমন্ত্রী এবং এটা আমার বিষয় নয়।"
রাজ্যের নির্বাচনী বিপর্যয়ের পরে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে রাহুল গান্ধী গেহলোটের কথা উল্লেখ করে বলেন বেশ কিছু বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তাঁদের পুত্রদের স্বার্থকে দলের স্বার্থের ঊর্ধ্বে স্থান দিয়েছেন। জানা গিয়েছে রাহুল ওয়ার্কিং কমিটিতে বলেছেন, গেহলোট অন্যান্য আসনকে উপেক্ষা করে যোধপুরে তাঁর ছেলের কেন্দ্রে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছেন।
Read the Story in English