রবিবার অশোক গেহলট দাবি করেছিলেন যে রাজস্থানে তাঁর সরকার বাঁচাতে সাহায্য করেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে এবং আরও দুই বিজেপি নেতা। ঠিক তার পর সাত দিন যেতে না যেতেই একেবারে ইউ টার্ন নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার অশোক গেহলট দাবি করেছেন, ‘১৫ বছরে ১৫ বারও বসুন্ধরার সঙ্গে কথা কথা হয়নি', বিজেপি নেত্রী যে তাঁর সরকার বাঁচাতে সাহায্য করেছিলেন এমন তথ্য সরাসরি খারিজ করে গেহলট বলেন, ‘তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যখ্যা করা হয়েছে’।
গেহলটের এই দাবির পর তেড়েফুঁড়ে আসরে নামেন বিজেপি নেত্রী বসুন্ধরা রাজে। তিনি সংবাদ মাধ্যমের কাছে দাবি করেন ২০২৩ সালের নির্বাচনের আগে অশোক গেহলট ষড়যন্ত্র করছেন। বসুন্ধরা বলেন, 'হেরে যাওয়ার ভয় থেকেই মিথ্যা বলছেন অশোক গেহলট।' বসুন্ধরা আরও বলেন, 'অশোক গেহলট আমাকে যতটা অপমান করেছেন, তা আর কেউ করতে পারবে না। নিজের দলেই বিদ্রোহে জেরবার তিনি। তাই তিনি আমার নামে মিথ্যা রটাচ্ছেন।'
গতকালই কর্ণাটক বিধান সভা নির্বাচনে জয়ের মুখ দেখেছে কংগ্রেস। আর ঠিক তার পরেই নিজের কুর্সি ধরে রাখতে মরিয়া গেহলট সরকার। তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে তিনি ১৫ বারও বসুন্ধরা রাজের সঙ্গে কথা বলেননি। তিনি আরও বলেন, বিজেপি নেত্রী রাজের সাথে তাঁর কখনও ভাল সম্পর্ক ছিল না। গেহলট আরও দাবি করেন, ‘তাঁর সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' নীতি অনুসরণ করে চলেছে’।
কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলটের শচীন পাইলট ইতিমধ্যেই গেহলট সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি বিদ্রোহে নামেন। তিনি এক সাংবাদিক সম্মেলনে এর আগে বলেন, 'মনে হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর নেতা সোনিয়া গান্ধী নয়, বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া'। শনিবার গোটা বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন অশোক গেহলট।
তিনি বলেন, বসুন্ধরা রাজে এবং আমার চিন্তাভাবনার মধ্যে দিন-রাতের পার্থক্য রয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে’। তিনি বলেন, ‘মানুষকে বুঝতে হবে রাজনীতিতে লড়াই আদর্শের লড়াই’। রাজ্যে দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে গেহলট বলেন, ‘দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে লাগাতার ব্যবস্থা চলছে। দোষীরা ধরা পড়ছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে সরকার’।