লোকসভা নির্বাচনের আগে ৪ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলেও মোদী ম্যাজিক। কংগ্রেসের হাত থেকে বেরনোর মুখে মরুরাজ্য রাজস্থান। বর্ষীয়ান অশোক গেহলট কিন্তু এখনও মিরাকেলের দিকে তাকিয়ে। ৭২ বছর বয়সী রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী গেহলটের কাছে এবারের ভোট তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎও অনেকটাই নির্ধারণ করে দেবে।
দুপুর ১.০৫ মিনিট পর্যন্ত যা তথ্য হাতে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে ১৯৯ আসনের রাজস্থানে বিজেপি একাই এগিয়ে ১১৩টি আসনে। কংগ্রেস অনেকটাই পিছিয়ে। এখনও পর্যন্ত ৭১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। রাজস্থানে গত কয়েকবছর ধরে কংগ্রেসে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে। প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলটের সঙ্গে গেহলটের দ্বন্দ্বের কারণে রাজস্থান কংগ্রেসে কলহ প্রচুর। তবে তা সত্ত্বেও আরও একবার মুখ্যমন্ত্রীত্বের কুর্সি নিশ্চিত করতে চেষ্টায় কোনও খামতি রাখেননি গেহলট নিজে। বিজেপির ডিজিটাল প্রচারকে তুমুল জবাব দিয়ে গেহলটও তাঁর সরকারের একের পর এক জনমোহিনী প্রকল্পকে প্রচারের আলো নিয়ে গিয়েছেন। গত কয়েকমাসে রাজ্যজুড়ে কংগ্রেস সরকারের একাধিক প্রকল্পের প্রচারে কার্যত ঝড় উঠেছিল।
গেহলট তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আগের কার্যকাল থেকে একটি শিক্ষা নিয়েছিলেন। কংগ্রেস এর আগে রাজস্থানে বিনামূল্যের ওষুধ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছিল। তাই গেহলট পরবর্তী সময়ে তাঁর সরকারের প্রথম বাজেটেই স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলিকে আরও সহজলভ্য করার জন্য জনতা ক্লিনিকের ঘোষণা করেছিলেন। বিশেষ করে যাঁরা ঘন বসতিপূর্ণ শহুরে এলাকায় বসবাস করেন তাঁদের জন্য সেই প্রকল্প বিশেষভাবে সহায়ক।
আরও পড়ুন- ফুৎকারে উড়ল প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার স্বর! মধ্যপ্রদেশে কোন ‘দাওয়াই’-এ ফের ‘ফিট’ বিজেপি?
রাজস্থানে গেহলট সরকার পরবর্তী বড় কল্যাণ প্রকল্পের ঘোষণা করে ২০২১ সালে। মুখ্যমন্ত্রী চিরঞ্জীবী স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প। যদিও পূর্ববর্তী রাজে সরকার ভামাশাহ স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প পরিচালনা করেছিল যা জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইনের (এনএফএসএ) আওতায় থাকা পরিবারগুলিকে সরবরাহ করেছিল।
গেহলট জানিয়েছিলেন চিরঞ্জীবী প্রকল্পটি কেবল এনএফএসএ সুবিধাভোগী এবং অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া অংশগুলিকে নয়, উচ্চ আয়ের গোষ্ঠীর লোকদেরও কভার করছে। সমস্ত সরকারি হাসপাতাল এবং কিছু বেসরকারি হাসপাতালে বছরে মাত্র ৮০০ টাকা দিয়ে পরিষেবা মিলছে। এটি গেহলটের সর্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ পরিকল্পনা হিসাবে ভালো মতো প্রচার করা হয়েছিল।