রাজস্থান কংগ্রেসে দ্বন্দ্ব কমার বদলে বাড়ল। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলটের বিরুদ্ধে সুর চড়ান। তিনি বলেন, 'একজন বিশ্বাসঘাতক কখনও মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন না। একজন ব্যক্তি, যাঁর কাছে ১০ জন বিধায়ক পর্যন্ত নেই, যে বিদ্রোহ করেছে, যে নিজের দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, এমন ব্যক্তিকে হাইকমান্ড মুখ্যমন্ত্রী করতে পারে না। সে এক বিশ্বাসঘাতক।'
রাজস্থান কংগ্রেসে বেশ কিছুদিন ধরেই অন্তর্দ্বন্দ্ব বাড়ছে। গেহলট এবং পাইলটের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ক্রমশই তীব্রতর হচ্ছে। যার জেরে দলের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল নেতাদের 'অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রকাশ্যে বিবৃতি' দিতে বারণ করেছেন। সেই নির্দেশ নামমাত্রেই পালন করা হচ্ছে। উভয় গোষ্ঠীর সমর্থকরা পরস্পরের বিরুদ্ধে, 'বিশ্বাসঘাতক', 'চরিত্রহীন', 'রেজিস্টার্ড দালাল'-এর মত নানা বাছা বাছা শব্দ প্রয়োগ করে চলেছেন।
তবে, সেটা সমর্থকরা করছিলেন। এবার খোদ গেহলটই যেভাবে সুর চড়ালেন, তা গত কয়েকদিনে অন্তত তিনি করেননি। তবে, এই প্রথমবার পাইলটের বিরুদ্ধে এমন বাছা শব্দ প্রয়োগ গেহলট করলেন, তেমনটা কিন্তু নয়। ২০২০ সালে পাইলটের বিদ্রোহের পরও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী গেহলটকে এভাবেই সুর চড়াতে শোনা গিয়েছিল। পাইলটকে তিনি 'নিকাম্মা', 'নাকারা' (ক্ষমতাহীন এবং মূল্যহীন) বলে তোপ দেগেছিলেন।
আরও পড়ুন- ‘এনআইএ বেঁচে আছে’, হার্মাদ মুক্ত দিবসে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
গেহলট এবং পাইলটের মধ্যে এই দ্বন্দ্বের শুরু ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচন থেকে। প্রথম দ্বন্দ্ব দেখা দেয় দলীয় টিকিট বণ্টন নিয়ে। দল জেতার পর দ্বন্দ্ব শুরু হয় মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে। তারও পরে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত মন্ত্রীদের নির্বাচন এবং দফতর বণ্টন নিয়ে। এরপর এআইসিসি নেতৃত্ব গেহলটকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসান। আর, পাইলটকে উপমুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। কিন্তু, এতে পাইলট সন্তুষ্ট হতে পারেননি।
সেই অসন্তোষের ফল ফলে দু'বছর পর ২০২০ সালে। শচীন পাইলট, দলের ১৮ কংগ্রেস বিধায়ককে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। এর জেরে রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে পাইলটকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
Read full story in English