দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যদি তাঁকে নির্দেশ দেন, কেবলমাত্র তবেই তিনি কংগ্রেস সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। একইসঙ্গে তিনি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও কাজ চালিয়ে যেতে চান। বুধবার কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের আগে এমনটাই জানিয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। কংগ্রেস সভাপতি হওয়া নিয়ে তাঁর প্রথম প্রকাশ্য বিবৃতিতে গেহলট জানান যে তিনি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব অর্থাৎ গান্ধীদের থেকে কোনও নির্দেশ এলে তা ফিরিয়ে দিতে পারবেন না।
সঙ্গে গেহলট জানিয়েছেন, সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে তিনি কেরলে উড়ে যাবেন। তাঁর মুখ্যমন্ত্রী থাকা প্রসঙ্গে গেহলট বলেন, 'দল আমাকে সব দিয়েছে। আমি গত ৪০-৫০ বছর ধরে বিভিন্ন দলীয় পদে আছি। কিন্তু, পদ আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা পূরণ করা আরও গুরুত্বপূর্ণ। আজ আমি মুখ্যমন্ত্রী। আমি সেই দায়িত্ব পালন করে চলেছি। আর, তা পালন করতে থাকব।'
গেহলটের বিরুদ্ধে কংগ্রেস সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন লোকসভা সাংসদ শশী থারুর। তিনি ইতিমধ্যেই এআইসিসি দফতরে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন আধিকারিক মধুসূদন মিস্ত্রির সঙ্গে দেখা করেছেন। থারুর এবং অন্যান্য সাংসদদের মিস্ত্রি জানিয়েছেন যে, নির্বাচনের জন্য ৯,০০০-এর বেশি প্রতিনিধির তালিকা ২০ সেপ্টেম্বর থেকে (মনোনয়ন শুরু হবে ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে) দিল্লিতে AICC-র কার্যালয়ে পাওয়া যাবে। প্রার্থীরা তালিকা থেকে ১০ জন সদস্যকে বেছে নিতে পারেন, যাঁদের সমর্থন তাঁদের প্রয়োজন এবং মনোনয়ন পেশের জন্য তাঁদের স্বাক্ষরও তাঁরা নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন- সিবিআইয়ের চেয়েও কঠোর ইডির আইন, টাডা-পোটার মতই মানবাধিকার হরণকারী, বিতর্কিত
উদয়পুর চিন্তন শিবিরে দল প্রধান সাংগঠনিক সংস্কার হিসেবে 'এক ব্যক্তি, এক পদ' নিয়মের পক্ষে সওয়াল করেছিল। সেই সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, গেহলট জানান যে এটি নির্দিষ্ট কিছু পদের জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে। গেহলটের কথায়, 'এখানে এটি একেবারেই খোলা নির্বাচন। যে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। ৯,০০০ প্রতিনিধির মধ্যে যে কেউ প্রার্থী হতে পারেন। তিনি সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী- যাই হোন না কেন। একজন প্রতিমন্ত্রী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এমন হতে পারে যে তিনি মন্ত্রী থাকবেন এবং কংগ্রেস সভাপতি হবেন।'
Read full story in English