Advertisment

‘অসমে ক্ষমতায় এলে CAA-বিরোধী শহিদ স্মারক’, বিবৃতিতে জানাল প্রদেশ কংগ্রেস

সম্প্রতি অসম সফরে গিয়ে সে রাজ্যে নাগরিকত্ব আইন বা CAA লাগু হবে না বলে জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে ২০১৯ সালে গুয়াহাটিতে জমায়েত। ছবি: দশরথ ডেকা

অসম ভোটে জিতে এলে CAA-বিরোধী আন্দোলনে মৃতদের বড়সড় সম্মান জানাবে কংগ্রেস। অসম প্রদেশ কংগ্রেসের ট্যুইটার পেজেই এমন ঘোষণা করা হয়েছে। কী সেই সম্মান? প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে খবর, নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় রাস্তায় নেমে যারা শহিদ হয়েছেন, তাঁদের স্মারক বানানো হবে। প্রদেশ কংগ্রেস আগামি বিধানসভা ভোটে জিতে সরকার বানালে এই উদ্যোগ নেওয়া হবে। ট্যুইটার পেজে এমনটা জানিয়েছেন দলীয় সাংসদ গৌরব গগৈ, প্রদ্যুত বরদলই, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রিপুন বরা।   

Advertisment

আগামি দুই মাসের মধ্যে সে রাজ্যে অনুষ্ঠিত হবে বিধানসভা ভোট। সেই ভোটে জিতে সরকার গড়বে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির জারি করা বিবৃতিতে সেই ইঙ্গিত মিলেছে। প্রদেশ সভাপতি বিবৃতি জারি করে বলেছেন, ‘আগামি কয়েক মাসের মধ্যে গুয়াহাটির পালকে নতুন ল্যান্ডমার্ক যুক্ত হবে। সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের স্মারক গড়া হবে। এটাই হবে বিজেপির প্রতি অসমের বার্তা।

দিন কয়েক আগেই শিবসাগরে সভা করে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়ে গিয়েছেন রাহুল গান্ধী। ঠিক তার কয়েকদিনে পরেই প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে এই বার্তা হাত শিবিরকে অ্যাডভান্টেজ দেবে। এমনটাই সুত্রের খবর। কারণ এনআরসি (NRC) করে অসমে বিপাকে বিজেপি পরিচালিত সর্বানন্দ সোনওয়াল সরকার। তাই বিধানসভার ভোটের আগে সিএ আইন নিয়ে বেশি সক্রিয়তা দেখায়নি বিজেপি-সহ কেন্দ্রীয় সরকার। আর গেরুয়া শিবিরের এই রক্ষণাত্মক অবস্থানকে হাতিয়ার করে স্মারক গড়ার ঘোষণা অসম কংগ্রেসের।

এদিকে, সম্প্রতি অসম সফরে গিয়ে সে রাজ্যে নাগরিকত্ব আইন বা CAA লাগু হবে না বলে জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী। তাঁর মন্তব্য, ‘যদি কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে নাগরিকত্ব আইন লাগু করা হবে না সে রাজ্যে।‘ রবিবার শিবসাগর জেলার এক জনসভায় এই প্রতিশ্রুতি দেন রাহুল গান্ধী। ইতিমধ্যে রাজ্যব্যাপী এনআরসি লাগু করে বিপাকে অসমের বিজেপি সরকার।

অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিতের নামে উল্টে অনেক ভূমিপুত্ররা ডিটেনশন ক্যাম্পে গিয়েছেন। এমনটাই বিরোধীদের অভিযোগ। এই আবহে নাগরিকত্ব আইন বা সিএ প্রণয়নে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় এই গড়িমসির মধ্যেই  অসমে সিএ নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলেন কংগ্রেস সাংসদ।

সেদিন শিবসাগরের সভামঞ্চে রাহুল-সহ অন্য কেন্দ্রীয় এবং প্রদেশ নেতারা অসমের আটপৌরে পোশাকে ছিলেন। কাঁধে গোমুসা বা তোয়ালে রেখে বক্তব্য রাখেন রাহুল গান্ধী-সহ ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল।

অতিমারির সময়ে জনগণের টাকা লুঠ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবার অসমের এক জনসভায় এই ভাষায় আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধী। দেশের পাঁচটি রাজ্যের সঙ্গে চলতি বছর এপ্রিলে অসমেও বিধানসভা ভোট। তাই ভোটমুখী পূর্বের এই রাজ্যে রবিবার জনসভা করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।

শিবসাগর জেলার এই জনসভায় এই কংগ্রেস সাংসদ ফের ‘হাম দো, হামারে দো’ প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তাঁর অভিযোগ, ‘প্রধানমন্ত্রী তাঁর দুই বিশেষ বন্ধুর ঋণ মকুব করে চলেছেন। আর মানুষের টাকা লুঠ করছেন।’ এমনকী, অসমের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী শুধু নাগপুর আর দিল্লির কথা শুনে কাজ করে। এমন ভাবেও সর্বানন্দ সোনওয়ালকে কটাক্ষ করেন কংগ্রেস সাংসদ।তিনি বলেন, ‘রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে টিভি নিয়ন্ত্রণ করা যায়, মুখ্যমন্ত্রীকে নয়। আপনাদের একটা নিজস্ব মুখ্যমন্ত্রী দরকার। সে আপনাদের কথা শুনবেন, নাগপুর বা দিল্লির কথা নয়।’

rahul gandhi Anti-CAA Assam Congress
Advertisment